নাস্তিক জেনেও সন্তানরা কেন বাবা মাকে জানাযা ছাড়া দাফন করতে চায়না।



সারা জীবন যেসমস্ত মানুষ ধর্ম কর্ম করেনা।ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে ,দাঁড়ি টুপি ওয়ালা দেখলেই তিরস্কার করে- -নিজকে নাস্তিক বলে গর্ববোধ করে -তারা মারা গেলে তাদের সন্তানরা কিন্তু জানাযা না দিয়ে দাফন করতে চায়না। এমনকি জানাযা পড়ানোর জন্যও বুজুর্গ আলেম খোঁজ করে। কোন আইনজীবী বুদ্ধিজীবী কবি সাহিত্যিক কিংবা রাজনৈতিক নেতা /অভিনেতার উপরও আস্থা রাখতে চায়না।যার অর্থ দাঁড়ায় ধর্মীয় ব্যাপারে যে যতটা উদাসীনই থাকনা কেন -ধর্ম ভীরুতা সবার অন্তরে বিরাজ করে।

এমন বাবা মা কমই পাবেন -যাদের সন্তান কোরানে হাফেজ কিংবা আলেম হয়। এমন সৌভাগ্যবান কমই হয় যাদের সন্তানরাই তাদের জানায়া পড়াতে পারে। এমনকি সপ্তাহে মাসে একবার হলেও তাদের কবর জিয়ারত করে।

খুব সংখ্যক মানুষ আছে যারা মা বাবার কবর জিয়ারতের নিয়ম কিংবা দোয়া দরুদ পড়তে জানে।বেশির ভাগ মানুষই হুজুরদের উপর নির্ভর করে।

আচ্ছা হুজুর দিয়ে পড়ালে যদি মানুষের দোয়া কবুল হত -তাহলে-তো বড় লোকরা টাকা দিয়ে হুজুর রেখে নামাজের দায়িত্বও পালন করিয়ে নিত।কষ্ট করে আর নিজে পড়তে হতনা। 

বনানী আজিমপুর .যাত্রাবাড়ী.শাহজাহানপুর ,রায়ের বাজার -মিরপুর কবর স্থানে গেলে দেখবেন বহু বড় লোক আছে যারা গাড়ী হাঁকিয়ে মা বাবার কবর জিয়ারত করতে যায় সাথে হুজুর নিয়ে। তখন হুজুরে দোয়া পড়ে আর তারা আমিন আমিন বলে। ভাবে দায়িত্ব-তো শেষ। কবর-বাসী কনফার্ম জান্নাতি।

যার অর্থ দাঁড়ায় মৌলিক শিক্ষা কিংবা ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। আসলে ধর্মের বিরুদ্ধে যে যাই বলুক না কেন -ধর্মের বাইরে কোন মুসলমানের নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ