'
পৃথিবীতে সাড়ে সাতশত কোটি মানুষ আছে -এই সাড়ে সাত শত কোটি মানুষের মধ্যে:-
#কারো চেহারার সাথে কারো চেহারার মিল নেই
#কারো আঙ্গুলের ছাপের সাথে কারো আঙ্গুলে ছাপ মিলেনা।
#কারো চোখের রেটিনার সাথে কারো রেটিনা মিলেনা।
#কারো কন্ঠের সাথে কারো কন্ঠ মিলেনা।
কোন বিজ্ঞানী আজ পর্যন্ত প্রমান করতে পারেনী যে -এই সৃষ্টিতে কোন ভুল আছে। চিন্তা করে দেখুন একটা চোখের দৈর্ঘ্য প্রস্থ কতটুকু ,একটা আঙ্গুলের দৈর্ঘ্য প্রস্থ কতটুক অথচ কোটি কোটি সৃষ্টির মাঝেও একটার সাথে আরেকটার মিল নেই। এমনকি পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত যত মানুষ পৃথিবীতে আসবে -এ সৃষ্টির মাঝে কোন মিল খুজে পাবেনা।
এ প্রসঙ্গে কোরান বলে -তোমাদেরকে উত্তম রুপে সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে -মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব।'অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে। ' (সুরা তিন, আয়াত :৪)।
কোন মানুষ যদি তার পুরু শরীর নিয়ে চিন্তা করে কিংবা কোন প্রানীর সাথে তুলনা করে তাহলে সে কখনও নাস্তিক কিংবা কাফের হতে পারেনা। কারন কিছু প্রানী আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন যাদের লেজ আছে -কিছু প্রানীর মুখ বড় ,কিছু প্রানীর নাক বড় ,কিছু প্রানীর কান বড় ,কিছু প্রানীর দাঁত বড় ,কিছু প্রানীর হাত নেই তারা মুখ দিয়ে খাবার খায়। আবার কিছু প্রানীর জিহবা অনেক বড়-কিছু প্রানী হাত এবং পা দিয়ে চলাফেরা করে আবার কিছু প্রাণী বুকের উপর ভর করে চলে। কিছু প্রানী জলে বাস করে আবার কিছু প্রানী গর্তে কিছু প্রানী জঙ্গলে -কিছু প্রানী গাছে আবার কিছু প্রানী গভীর সমুদ্রে -মানুষকে যদি এরুপ কোন প্রানীর মত তৈরি করা হতো তাহলে কিরুপ হত। এটা তুলনা করলেই মানুষের পক্ষে আল্লাহর শোকর না করে থাকতে পারেনা।
সবচেয়ে বড় কথা মানুষই একমাত্র প্রানী যে কথা বলতে পারে -অন্য কোন প্রানী নয়। আবার মানুষকে অন্ধ বোবা বধির পঙ্গু বানিয়েও আল্লাহ দেখিয়ে দিলেন -আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমাকেও এরুপ করতে পারতেন।
হাদীসে বলা হয়েছে - যে তার নিজকে চিনতে পেরেছে সে তার প্রতিপালককে চিনেছে। যুগে যুগে সাধক এবং আত্মাধিক ওলি গন -এই মানব দেহ নিয়ে গবেষনা করে গেছেন। অথচ দেখেন সে মানুষই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য অন্য মানুষকে খুন করে .আগুনে পুড়ে মারে -কেটে খন্ড খন্ড করে -জবাই করে -বোমা মেরে ক্ষত বিক্ষত করে। তাহলে মানুষ কি করে সৃষ্টির সেরা জীব থাকে ?
0 মন্তব্যসমূহ