ইতিহাসে যেসব ভয়ংন্কর এবং নৃশংস হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে তার বেশির ভাগই করেছে অমুসলিমরা।




যুগে যুগে জাতিগত বিদ্বেষ  এবং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য -প্রাণ দিতে হরেছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। যাদের বেশির ভাগই ছিল নিরপরাধ কিংবা নিরস্ত্র জনগণ । যুদ্ধ একদিন শেষ হয়ে যায় , সমস্যার সমাধানও হয় কিন্তু সে ক্ষতি এবং হারানো প্রাণ আর ফিরে পাওয়া যায় না। 

এমনকি হত্যাকারীও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় -কিন্তু ইতিহাসে তারা স্থান করে নেয়  ঘৃণিত কিংবা  কালো অধ্যায় হিসাবে স এরপরও সে হত্যাযজ্ঞ থেমে থাকেনা।নূতন নূতন ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর ধরে -দেশে দেশে যুদ্ধ লেকেই থাকে। এর একমাত্র কারণ আধিপত্য বিস্তার এবং অস্ত্র বিক্রি। গত দু বছর ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ লেগে আছে। এর আগে ছিল আফগানিস্তানে। ইসরাইল আর ফিলিস্তিনে যুদ্ধ লেগে আছে বছরের পর বছর ধরে। এরপরও সব দায় এসে পড়ে মুসলমানদের কাঁধের উপরে। 

 ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এসব হত্যা কাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের বেশির ভাগই অমুসলিম।এরপরও মুসলিমদের বলা হয় -টেরোরিস্ট :-

এ্যাডলপ হিটলার -আজও একটি ঘৃণিত নাম। কারণ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় -নৃশংস ভাবে ইহুদীদের হত্যা করেছিল হিটলার।  প্রায়  ৬০ লক্ষ ইহুদিকে বিনা অপরাধে নৃশংসভাবে  হত্যা করেছিলো হিটলার ।

জোসেফ স্ট্যালিন, একজন অমুসলিম । সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং ১৪. ৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!!

মাও সেতু একজন অমুসলিম। ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! 

 মুসলিনী (ইটালি) ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে ! সে কি মুসলিম ছিল ? অন্ধ মিডিয়া একবারও বলে নাই খৃষ্টান টেররিস্ট 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট  জজ বুশ  ঠুনকা অজুহাতে  ইরাকে, আফগানিস্তানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মুসলমানদের  হত্যা করেছে !

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন :- উইক্রেনের অপরাধ হলো তারা কেন ন্যাটোতে যোগ দেবার ইচ্ছা পোষন করলো। ্ এ অজুহাতে তারা ইউক্রেন আক্রমণ করে। পাল্টা আক্রমণও করে ইউক্রেন  এ পর্যন্ত প্রায় ০২ লাখেরও নিহত হয়েছে এ যুদ্ধে। 

ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট  নেতা নিয়াহু :- বিশ্বে চলমান সংকট গুলোর মধ্যে অন্যতম ফিলিস্তীনি ইস্যু।গত কয়েক দশক দলে চলে আসা -এ এক তরপা যুদ্ধে কয়েক লাখ ফিলিস্তীনিকে হত্যা করছেন ইসরাইলী বাহিনী। নিজের বসত ভূমিতে তারা পরবাসী। তাদের অপরাধ তারা ইসরাইলের সৈন্যদের পাথর ছুড়ে , গত বছর পাথরের পরিবর্তে মিসাইল ছুড়েই  এখন বড় পরিণতি ভোগ করতে হ্চছে তাদের। কিন্তু পুরো বিশ্ব দায়ী করছে মুসলমানেরই -অবাক হয়ে তাকিয়ে তামশা দেখছে আরব বিশ্ব। কারণ ইসরাইলকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করছে আমেরিকা। 

এ ন্যক্কারজনক জগন্য মানবতা বিরোধী অপরাধের শেষ কবে হবে জানিনা। 

 মায়ানমারে প্রতিদিন মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, উচ্ছেদ করছে ! 

যারা ইতিহাস জানেন -তারা হয়তো বলতে পারবেন -প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি মুসলমানদের কারণে হয়েছিল ?অথচ পৃথিবীর আনাচে কানাচে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এরপরও নাম দেয়া হচ্ছে মুসলিম ইজ টেরোরিস্ট। আফগানিস্তানে -সিরিয়ায় -ইরাকে বর্তমানে ফিলিস্তিন এবং লেবাননে হাজার হাজার মুসলমানদের হত্যা করছে ইসরাইলিরা -বলছে  তারা জঙ্গি তাহলে ইসরাইলিরা কি ?

 হত্যা নির্যাতন কিংবা অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলমানরা কখনো জড়িত ছিলনা। কিন্তু যখনই তারা জালিমের জুলুম থেকে  আত্ম রক্ষা করতে যায় -তখনই তারা হয়ে যায় সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ