পবিত্র কোরানে হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে যেসব নবী রাসুল পেরিত হয়েছিল এবং যেসব সম্প্রদায়েের নিকট পেরিত হয়েছিল সেসব জাতি ও নবীর কিছু পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে অনেক জাতি তাদের নবীকে হত্যা করেছে অনেকে আবার নবীর কথা না শুনে পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার কারনে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। এসব কিছুর নিদর্শন এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গোটা আরব ভুমি জুড়ে।
এজন্য বলা হয়ে থাকে পয়সা হলে শুধু চীন নয় -একবার মধ্য প্রাচ্যে ঘুরে আসার দরকার। তাহলে কোরানে বর্ণিত ঐতিহাসিক নিদর্শন সমূহের চিহ্ন খুজে পাওয়া যাবে। যার মধ্যে :-
১.ফেরআউনের লাস ২. মৃত সাগর বা ডেড সী ৩. তুর পাহাড় ৪.কারুনের ধন সম্পদ ৫.বনি ইসলাইলের ১২টি ঝর্না ৬. মিশরের নীলনদ ৭.ইরাকের ফোরাত নদী। ৮.ইব্রাহীম আঃ আগুনের ফেলানোর কুন্ডলী। ৯.সাদ্দাদ এর বেহেস্ত খানা ১০. কোরানে বর্নিত বনি ইসরাইলের জন্য বেহেস্তি খাবার মান্না সালওয়া এবং সেই মাঠ। ১১. শোয়াইব আঃ কন্যাদয়ের ব্যবহৃত ঝর্ণা ১২.লুত আঃ এর স্ত্রীর পাথর খন্ড ১৩. -নুহ আঃ এর নৌকার সেই ঘাট -ইত্যাদি। এ রকম নিদর্শন আছে প্রায় ১০০টির উপরে।এর মধ্যে সৌদি -মিশর ,জর্ডান , ইয়েমেন ,ইরাকে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়াও আছে প্রায় সব কটি আরব দেশে।
এর মধ্যে আল্লাহর হুকম অমান্য করে -ধ্বংশপ্রাপ্ত হয়েছে বহু জাতি। তার মধ্যে -কয়েকটি জাতির পরিনতি এরুপ :-
১. নুহ (আ.)-এর জাতি: মূর্তিপূজা না ছাড়ার কারণে ভয়ংকর বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস দিয়ে নুহ (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
২. আদ জাতি: শক্তি ও ক্ষমতার বাহাদুরি এবং মূর্তিপূজা না ছাড়ার কারণে বিভিন্ন আজাব দিয়ে হুদ (আ.)-এর সম্প্রদায় আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৩. সামুদ জাতি: আল্লাহর নিদর্শন বিশেষ একটি উট হত্যার কারণে ভূমিকম্প দিয়ে সালেহ (আ.)-এর সম্প্রদায় সামুদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৪. লুত (আ.)-এর জাতি: সমকামিতার অপরাধে ভূমি উল্টে পাথর বৃষ্টি দিয়ে লুত (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৫. মাদায়েনবাসী: তওহিদে অবিশ্বাস, মাপে কম দেওয়া, সম্পদ আত্মসাৎ, অর্থনৈতিক অসততা ও মানুষকে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ায় ভূমিকম্প দিয়ে শোয়াইব (আ.)-এর সম্প্রদায় মাদায়েন জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৬. ফেরাউন ও তার জাতি: নিজের ক্ষমতার প্রতি অন্ধ মোহ, মুসা ও হারুন (আ.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করার কারণে ফেরাউন ও তার জাতিকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল।
0 মন্তব্যসমূহ