প্রশ্ন হচ্ছে ১৬ বছর ধরে উনি কি মূত্র বিসর্জন করেন নাই, নাকি চেপে রেখেছেন ? যদি চেপেই রাখেন তাহলে-তো উনার কিডনি রোগ হয়ে যাবার কথা ? আর যদি চেপে না রাখেন তাইলে এত চাপ আসবে কেমনে ? খালেদা জিয়ার বাড়ীর সামনে যখন বালুর ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয় -তখন কি উনার কিডনি হজম হয়ে গিয়েছিল ? কিঞ্চিত ডোজ দিলেই-তো বালি ড্রেনে তলিয়ে গিয়ে বুড়িগঙ্গায় পড়তো।আর প্রেসার থাকলে ট্রাক উল্টে যেত। রুহুল কবির রিজভী এবং মীর্জা ফখরুল যখন প্রতিটি হরতালে পল্টন অফিস পাহারায় থাকতেন তখন এই দুদু- কোথায় ছিল ? উনার কি তখন কিডনি রোগ ছিল নাকি হার্টের রোগ ? কখনও-তো মাঠে দেখতাম না উনাকে। তবে মাঝে মাঝে টকশোতে মিষ্টি কথা বলার জন্য আসতেন। এধরনের বিএনপির নেতা ছিল ডজনে ডজনে -কেউ ছিলেন শারীরিক ভাবে অসুস্থ কেউ মানসিক, কেউ আতঙ্কে কেউ আত্ম গোপনে। কেউবা আবার বাঁচার জন্য সরকারী সংস্থার সাথে আঁতাত করে পিঠ বাঁচিয়ে চলেছেন। তখন দলের নেতা কর্মীরা তাদের বদনখানি দেখতে না পেলেও এখন তাদের গলার আওয়াজ শুনা যায়।টিভি এবং ফেসবুকে তাদের চেহারা মোবারক দেখা যায়। এতদিনতো কথা বলার স্বাধীনতাও ছিল না -এখন স্বাধীনতা পেয়ে যে যার মত করে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে একটা জিনিষ পরিষ্কার হয়ে গেল -তা হলো কার ভেতরের যোগ্যতা কতখানি। বস্তুত ছাত্ররা যখন জীবন বাজি রেখে দেশের মানুষকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এনে দিয়েছে - কথা বলার স্বাধীনতা- মত প্রকাশের স্বানীনতা- মিছিল মিটিং করার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে -তখন নেতার সংখ্যা বেড়ে গেছে এ দেশে । অলিতে গলিতে শুধু নেতা আর নেতা । টিভি চ্যানেল খুললেই বক্তা-রাস্তায় নামলেই নেতা। তাই ক্ষমতা লিপ্সু সুবিধাভোগী এসব নেতাদের মুখে শুনতে হয় -অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ এবং অর্বাচীন শব্দ। যা শুনলে মনে হয় -এদের না আছে কোন -প্রজ্ঞা না আছে মেধা না আছে শিক্ষা--আনাড়ি আর বাচালের মত কথা বলে এরা যেমন দলকে বিব্রত করছে তেমনি নিজের যোগ্যতাকেও করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও যোগ্যতার এদের কোন কমতি নেই কিন্তু অতি উতসাহী হয়ে এরা শুধু দলকে বিতর্কিত করেছে তা নয় -বরং আত্ম সম্মান হারিয়ে নিজেদের সাধারনের কাতারে নিয়ে এসেছে।
0 মন্তব্যসমূহ