প্রাচীন কালে ক'মাস পর পর -তৈলের দাম বাড়তো। আর এর পক্ষে যুক্তি ছিল সরকার ভূর্তকি দিতে দিতে রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডার খালি করে ফেলছে। আমরাও সরকারের এবং তার মিত্রদের এসব কথা শুনে চোখের জলে ঢাকার অলিগলি ভাসিয়ে দিয়ে ভাবতাম -আহারে সরকার কতটা ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছে জাতির জন্য। কিন্তু তলে তলে কি হচ্ছে এটা অনুমান করা গেলেও বিশ্বাস করতে হয়েছে জুলাই আগষ্ট এর পরে।
এখন দেখছি কয়েক মাস পর পর -তৈলের দাম কমে। এতে একদিনে যা তৈল বিক্রি হয় -তার থেকে কম আদায় হয় কয়েকশ কোটি টাকা। মাসে হাজার কোটি।
প্রশ্ন হচ্ছে সরকার এখন এ রাজস্ব ঘাটতি ঘুচাবে কি করে ?
উত্তর দুটো।
১.এখন আর মন্ত্রী ,এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ,সিটি মেয়র ,পৌর মেয়রদের বেতন দেয়া লাগেনা।লাগেনা -এদের ড্রাইভার ,পি এস ,বাসা বাড়া ,বাসা থেকে খাবার আনার জন্য গাড়ীর তৈলের খরচ -বিদেশ ভ্রমণের জন্য টাকা -চিকিতসা ভাতা । তাই প্রতি মাসে সরকারের সাশ্রয় হচ্ছে কয়েকশো কোটি টাকা।
২.এখন আর সরকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজের মত কেউ ব্যবহার করতে পারেনা। খেতে পারেনা ইচ্ছেমত ঘুষ। বদলী প্রমোশন এবং টেন্ডার থেকে নিতে পারেনা কমিশন। সবাই ভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন যেমন সক্রিয় তেমনি এদের আর এখন কাউকে ধরার জন্য সরকারের অনুমতি লাগেনা। কিংবা ধরার পর মন্ত্রীদের ফোন আসেনা। তাই সবাই একটু সচেতন।
যদিও এটা বলা যাবেনা যে -সবাই চরমোনাই পীরের মুরিদ হয়ে গেছে কিংবা তাবলীগে জামাতের চিল্লায় গিয়ে ফুলের মত পবিত্র হয়ে গেছে।
তাই মাসে হাজার কোটি টাকার ঘাটতির পরিবর্তে হচ্ছে সামান্য লাভ।তাছাড়া তৈল ক্রয়ে থাকে স্বচ্ছতা।
এরপরও এ সরকার যে খারাপ এটা বলাই যায়। কারণ সংস্কার করে বহু মানুষকে বেতনের উপর নির্ভরশীল করে দিয়েছে, এটা কি মানা যায় ? এত দিনের অভ্যাস ---।
তাই আমারও দাবি সংস্কারের দরকার নাই নির্বাচন দেন -এট্টু ক্ষুধাটা মিটিয়ে নেই।আগে যারা খেয়েছে তাদের পরিমাণ ভাণ্ড পূর্ণ করে নিই -তারপর আমরাই সংস্কার দিমু।
প্রশ্ন হ্চছে তৈলের দামতো কমে কিন্তু বাস ভাড়া কমেনা কেন ?
0 মন্তব্যসমূহ