মূলত ভারত সব সময় মনে করেছে বাংলাদেশ তাদের অঘোষিত স্বাধীন প্রদেশ কিংবা করিডোর এবং বাংলাদেশ কখনও তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না। সে মোতাবেক সরকারও কাজ করেছে। ভারতের যেখানে আপত্তি আছে বা ভারতের স্বার্থ বিরোধী হয় এমন কোন কাজে হাত দেয়নি বিগত সরকার। সে মোতাবেক সচিবালয় সাজানো হয়েছে --
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শ কাতর মন্ত্রনালয়ে ভারতের আশ্বীর্বাদপুষ্ট এবং পছন্দের লোক দিয়ে সাজানো হয়েছিল যাতে ভারতের স্বার্থের আঘাত হয় -এমন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করলে ভারত জানতে পারে। তাছাড়া এসব লোক পুণ্যস্থান হিসাবে ভারতে গেলে ডাটা ট্রাসপার হতে পারতো অনায়াশে।
এখন ভারতের মাথায় হাত। এতদিন তাঁবেদারি সরকার যা বলেছে তাই শুনেছে -কিন্তু গোখরা সাপ ইউনুসকে-তো বসে আনা যাচ্ছেনা -তাই ভারত বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে পা মাড়িয়ে ঝগড়া বাঁধানোর চেষ্টা করছে।
ট্রানজিট সুবিধা বাতিল,বাতিল -আমদানি রপ্তানিতে বিধিনিষেধ -টুরিস্ট ভিসা বাতিল -মেডিকেল ভিসা বাতিল -কোলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভ-বাংলাদেশ সম্পর্কে শুভেন্দ্র অধিকারী মমতা-রাজ্য সরকার -বিদেশ মন্ত্রী এবং স্বরাষ্টমন্ত্রীর বিদ্বেষ মূলক বক্তব্যের কারণটা স্পষ্ট।হাসিনা নেই -তাহলে ভারতের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা হবে ?
আরে ভাই আমাদের দেশে কোন দল রাষ্ট্র পরিচালনা করবে কে মন্ত্রী হবে কে এমপি হবে এটাতো এ দেশের জনগণের সিদ্ধান্ত এটা নিয়ে তোমাদের মাথা ব্যথা কেন ? সাম্প্রদায়িক ইসু তৈরি করে -আওয়ামীলীগের লোকজন দিয়ে হিন্দুদের ঘর ভাঙচুর করে তোমরা বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগাতে চাচ্ছো ?
বাংলাদেশে বিছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটিয়ে যারা তোমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সমর্থ হয়েছে তাদেরকে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী ধরে -পাছায় টেটো করে দিয়েছে। তোমাদের দেশে তো এরচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় -পুলিশ প্রহরায়।মুসলমানদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হচ্ছে কয়েকটি প্রদেশে। কই সেটা নিয়েতো আমরা তোমাদের সাথে সম্পর্কে খারাপ করিনা ? তোমাদের অভ্যন্তরীণয় বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাই না। তাহলে তোমরা আমাদের অভ্যন্তরীয় বিষয় নিয়ে ক্রমাগত উস্কানী দিয়ে যাচ্ছো কেন ? তোমাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ করার কোন ইচ্ছায় আমাদের নেই। তবে কেন অভ্যন্তরীয় বিষয় নিয়ে বার বার নাক গলানো ?
0 মন্তব্যসমূহ