যিনি সিগারেট পান করেন -তাকে যদি আপনি বলেন কাল থেকে আপনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিবেন।সেটা কি পারবেন তিনি ?যিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন না -তাকে যদি আপনি বলেন -কাল থেকে আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন মসজিদে গিয়ে -সেটা কি তিনি করতে পারবেন ?
যিনি রাতে দেরী করে ঘুমান সকাল ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠেন না -তাকে যদি আপনি বলেন -আপনি রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাবেন এবং ভোরে উঠবেন -তাহলে কি তারা দ্বারা কাজটি সহজ হবে ? উত্তর হবে , না --।
কারন যে কোন অভ্যাস তৈরি হয় যেমন দিনে দিনে তেমনি ছাড়তেও হয় দিনে দিনে হটাত করে কোন অভ্যাসই ত্যাগ করা সম্ভব না। যেমনি ভাব হটাত করে আপনি কোন গাড়ীও ব্রেক করতে পারেন না।
যিনি সরকারী চাকুরী করে বছরের পর বছর ধরে -বাড়তি ইনকামের উপর নির্ভরশীল হয়ে রয়েছেন -তার উপর যদি আপনি হুলিয়া জারি করেন -আপনি ঘুষ খেতে পারবেন না -চুরি করতে পারবেন না। তাহলে সে ওটা কখনও মেনে নিতে পারবে না। প্রয়োজনে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে -আন্দোলন করবে -এমনকি আপনার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করবে না।
কারণ সরকারী চাকুরী করে -কিন্তু ঘুষ খায়না চুরি করেনা এমন কর্মচারী আপনি পাবেন হাতে গোনা কয়েকজন। শতকরা ১০ থেকে ২০ জন। বাকী সবাই উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট।
আবার দেখবেন এরাই টুপি মাথায় দিয়ে ডিউটি করে -বছর শেষে সরকারী টাকায় হজ্জ করার জন্য লাইন ধরে কিংবা পেনশানে গিয়ে নিজ টাকায় মক্কায় যায়।হজ্ব কবুল হল কিনা সেটা বড় কথা না বড় কথা হলো নামের শেষে একটি আলহাজ্ব।
এরপরও কথা থেকে যায় -বর্তমানে যে সংস্কার আইনটি হলো -তাতে একটি ধারা আছে এমন যে -যদি কাউকে শাস্তি বা চাকরীচ্যুত করা হয় -তাহলে তিনি সে ব্যাপারে আবেদন বা আপিল করতে পারবে না ।
এটার ব্যাপারে আমারও ঘোর আপত্তি আছে।
আমাদের দেশে আইনের অপ ব্যবহারের নজির আছে হাজারে হাজার। নিরপরাধ মানুষকে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসাবে ধরে নিয়ে হাজত খাটিয়েছে মাসের পর মাস বছরের পর বছর।সুতরাং
যিনি শাস্তি আরোপ করবেন -তিনি যে আবেগের বশবর্তী হবেন না -রাজনৈতিক বিচারে দিবেন না -ভুল করবেন না তার গ্যারান্টি কি ?
0 মন্তব্যসমূহ