ইরান পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না -কিন্তু ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেলায় সেটা কি শিথীল যোগ্য ?

 


জাতিসংঘ একটি ব্রান্ডিং প্রতিষ্ঠান -এর না আছে কোন কার্যকারিতা না আছে কোন ক্ষমতা। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের মত -দোয়া দুরুত আর বানী বিবৃতিতেই এর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। 

আমেরিকা যখন ইরাক আক্রমণ করে -তখন জাতিসংঘ এর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনে। ব্যস ঐ পর্যন্তই । যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে হিসাবেই ধরেনা। তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য কাউকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানায় আবার বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। 

সারাবিশ্বে তারা মানবাধিকারের জন্য জাতিসংঘ প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে গরীব নিপীড়িত রাষ্ট্রগুলোর পাশে দাঁড়ায় -মাঝে মাঝে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে পিস টিম প্রেরণ করে -

অথচ অন্যায় ভাবে কারো উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে কিংবা এক দেশ আরেক দেশের উপর আক্রমণ করলে জাতিসংঘ সেখানে ওয়াচ টাওয়ার হয়ে যায়। মসজিদের ইমাম বা গির্জার পাদ্রির মত - শুধু শান্তির বানী প্রচার করে। বস্তুত তাদের নিজস্ব কোন পুলিশী ক্ষমতা নেই। তারা আমেরিকার অলিখিত একটি সাপোর্টিং প্রতিষ্ঠান। 

প্রায় দেড় বছর ধরে চলা -ইসরাইলের বর্বর হামলার শিকার হচ্ছে গাজার নিরীহ মানুষ। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ডজনে ডজনে নারী পুরুষ শিশু -আক্রান্ত হয়েছে হাসপাতালে -বাধা দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সরবরাহেও।মানবাধিকার সকল সকল শাখা উপ শাখা -অনুচ্ছেদ -কলামের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়েছে ইসরাইল। অথচ জাতিসংঘ নির্বিকার । শান্তির বানী প্রচার করেই তাদের দায়িত্ব শেষ।

তারা বাংলাদেশে আসে -রোহিঙ্গাদের উপর কোন অন্যায় হলো কিনা , তাদের আশ্রয় দেয়া হলো কিনা -তাদের বাথরুম পায়খানা ঠিকমত বের হচ্ছে কিনা  বাচ্চারা লেখা পড়া করতে পারছে কিনা -স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে কিনা সেটা দেখতে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে তারা বার বার এমন অভিযোগ আনলেও  গাজা এবং ইসরাইলের ব্যাপারে নির্বিকার। যা রীতিমত হাস্যকর না -পক্ষপাতমূলক আচরণ। এর কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের মতের বাইরে কিছু করেনা। বর্তমানেও দেখবেন -ইরান -ইসরাইলের যুদ্ধে জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্রের সুরে সুর তুলে কথা বলবে। 

ন্যাটো জি -সেভেন -যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের ইচ্ছা হলো -ইরান পারমানবিক শক্তিধর হতে পারবে না কিন্তু ইসরাইল কেন হতে পারবে যুক্তরাষ্ট কেন হতে পারবে এ প্রশ্ন কেউ করেনা ।

তাই মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর উচিত -এ সংঘ থেকে বের হয়ে সত্যিকারার্থে একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। জাতি সংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট থেকে ইউরোপের অন্য কোন দেশে স্থানান্তর করা। যারা সদস্য দেশগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতা ছাড়াও শক্র পক্ষের আক্রমণ থেকে সদস্য দেশ গুলোকে রক্ষা করবে। 

লেখক : আসিফ মোঃ নজরুল।

সাংবাদিক ,নাট্যকার ও প্রযোজক। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ