এনসিপির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই গোপালগঞ্জের সমাবেশে হামলা চালানো হয়।


এটা অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে - এনসিপির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই সশস্ত্র হয়ে গোপালগঞ্জের সমাবেশে হামলা করেছিল আওয়ামীলীগ। গোপন স্থান থেকে গতকালে পলাশ ( কথিত আইরন ম্যান/ পুলিশের বহিস্কৃত সদস্য) লাইভের কথায় এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠে। কি ভয়ংন্কর পরিকল্পনা ছিল তাদের -এবং পুলিশের নিলুপ্ততা -সেটা অনুমানই করতে পারেনী -এনসিপির -কচি নেতারা। ঘটনা স্থলে যদি আর্মী উপস্থিত না হতো -তাহলে আজকের বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হতো অন্য ভাবে । কারন তাদের তাদের বদ্ধমুল ধারনা ছিল এনসিপির নেতারা বঙ্গবন্ধুর মাজার ভাঙ্গবে -তাছাড়া শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এরাই দায়ী।

এছাড়া আওয়ামীলীগের অতীত  ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় -গোপালগঞ্জের দুটো আসনে- (শেখ সেলিম /শেখ হাসিনার) কখনও আওয়ামীলীগ ছাড়া বিএনপি /জামাত /জাতীয় পার্টিকে কোন বৃহত্তর সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। এ ছাড়াও এদলটির মূলমন্ত্র হলো গনতন্ত্রের আড়ালে  একনায়ক তন্ত্র। তাই তারা কখনও প্রতিপক্ষকে সহ্য করতে পারেনা। যাকে প্রতিপক্ষ মনে করছে তাকে ঘায়েল করার জন্য তারা সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করছে । হত্যা ঘুম খুন -প্রতিপক্ষের মিছিলে হামলা তারাই একটা অংশ। 

যেটা দেখা গেছে জুলাই আন্দোলনেও।জুলাই আগস্টে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ যুবলীগ-হেলমেট পরে যৌথ  বাহিনীর সাথে আন্দোলনকারীদের খুন করে আন্দোলন দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল কিন্তু বিধিবাম. শেষ পর্যন্ত যে সেনাবাহিনী তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনে গুলি চালাবে না এটা  তারা কল্পনা করতে পারেনি।এমনকি তারা এখনও মনে করে প্রশাসনের সহায়তায় তারা যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সেটা সঠিক ছিল -নূন্যতম অনূশোচনা  তাদের মধ্যে নেই। তাই তারা এখনও মনে করে অহি নাযিল হবার মত শেখ হাসিনাও দেশে ফেরত আসবে।  

যে কারণে তারা এখনো প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য কিন্তু  যে পুলিশের অস্ত্র নিয়ে তারা মানুষকে গুলি করেছে -কাল সে পুলিশ এবং আর্মির গুলিতেই -মারতে এসে মারা যাবে এটা তারা কল্পনা করতে পারেনি কখনও। গোপালগঞ্জে যে অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে এনসিপি -এটা তাদের অদূরদর্শিতার ফসল। অন্যদিকে তাদের পরিকল্পনা যে এভাবে ভেস্তে যাবে এবং প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাবে এটা হয়তো কল্পনা করতে পারেনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। 

ঘটনা যাইহোক জনগণের শান্তির জন্য আপনারা মারামারি করেন -গুলি করেন -মারেন কিংবা মরেন কোনটাই আমাদের কাম্য নয়। আমরা শান্তি চাই -এবং আপনাদের ক্লান্তি চাই। 

১৬ বছর ধরে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছেন -এবার একটু শান্ত হোন।দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে নিজেদের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের চেষ্টা করুন। নইলে  ক্ষতি আপনাদেরই হবে বেশি-কারণ ছাত্রলীগ কাগজে কলমে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ