মানুষ এটা কখনও চায়না যে -প্রতিটি খেলায় বাংলাদেশ জিতুক কিন্তু এটা অবশ্য চায় যে -বাংলাদেশ লড়ে হারুক। প্রতিটা খেলায় মাথা নিচু করে - খেলোয়াররা মাঠ ছাড়ুক । আর আমি প্রতিনিয়ত শিখছি এ বাক্য শুনতে চায়না। অসহায়ের মত ০৫ রান করতে গিয়ে ০৭ উইকেট হারানো খেলোয়ারদের বাংলাদেশে জার্সি গায়ে দেখতে চায়না। কারণ এদের পিছনে প্রতি মাসে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ টাকা গুলো মানুষের ভ্যাট ট্যাক্স -স্পন্দর থেকেই আসে। তাই এদের পিছনে মানুষের আবেগ থাকাটাই স্বাভাবিক। আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় দেশের জন্য সর্বোচ্ছ ত্যাগ কাদের ? কিংবা দেশের সর্বোচ্ছ বেতন ভোগী কর্মচারী কারা ? এ প্রশ্নের সহজ কোন উত্তর না থাকলেও ক্রিকেটারদের বেতন দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য । কারণ রাষ্ট্রপতি ,প্রধান উপদেষ্টা ,সেনা অফিসার-পুলিশ অফিসার ,আইজিপি ,ডিসি,কমিশনার, সচিব , বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিভিন্ন প্রজেক্টের জিএম,চেয়ারম্যান ,ডাইরেক্টরের চেয়ে ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন বেশি।এর কারণ কিংবা যুক্তি খোঁজার আগে আসুন জেনে নেই তাদের মাসিক বেতনের হার কার কেমন :- কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা : এ+ ক্যাটাগরি (১০ লাখ) : তাসকিন আহমেদ এ-ক্যাটাগরি (৮ লাখ) : নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম বি-ক্যাটাগরি (৬ লাখ) : মোমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মাহমুুদুল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাওহিদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা সি-ক্যাটাগরি (৪ লাখ) : সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলি, তানজিদ হাসান তামিম, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শেখ মাহেদি হাসান ডি-ক্যাটাগরি (২ লাখ) : নাসুম আহমেদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ। হয়তো দেশের জন্য তাদের অবদান কিংবা ত্যাগ বেশি কিন্তু আপনি যদি তাদের পারফরমেন্স পর্যালোচনা করেন -তাহলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য -কারণ যোগ্যতা এবং পারফরমেন্স বিচার করতে গেলে দেখবেন -কি বৈষম্য লুকিয়ে আছে এরই মাঝে। কেউ পারফরমেন্স না করেও পাচ্ছে টাকা, কেউবা করেও আছে তালিকার নীচের দিকে। অনেকের সাথে আবার চুক্তিও নেই। মূলত ক্রিকেট বোর্ডের আস্থা-ভাজন হতে পারলে -পারফরমেন্স কোন মুখ্য বিয়য় না। বিষয় হলো আপনি কতটা লবিং করতে পারেন। মাঠের খেলার আলোকে যদি যোগ্যতা নির্ধারণ করা হতো তাহলে অনেকে বেতনই পায়না।অনেকে আবার চড়া বেতন পেয়ে ভাবে -যা করেছি এইতো বেশ, খেলার জন্য জীবন দিব নাকি ? ভালো খেললে পুরুষ্কার পাওয়া যায় -আর খারাপ খেললে তিরস্কার হয় কিন্তু বেতনতো আর কর্তন হয়না। টাকা দেয় বিসিবি -বিসিবিকে দেয় রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের টাকায় কখন কিভাবে খরচ হবে -এটা জনগণের মাথা ব্যথায় বিষয় না -জনগনের মধ্যে খেলা নিয়ে আবেক কাজ করে -তাই জনগণ মনে করে রাষ্ট্রের টাকা যারা ভোগ করে -তারা যোগ্যতার প্রতিদান দিক নইলে খেলা ছেড়ে দিক। মানুষের আবেগ নিয়ে -রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে -প্রতিটা ম্যাচে শিক্ষীনবিষ টিম মানুষ দেখতে চায়না। কেউ যদি মনে করে -তাদের এখনও শেখার আছে -তাহলে সে আগে শিখে আসুক তারপরও বেতন ভুক্ত হোক। খেলা শেখানোর জন্য প্রচুর একাডেমী আছে। বিসিবি শুধু যোগ্যতার মূল্যায়ন করবে -যোগ্য খেলোয়ারের পিছনে পৃষ্টপোষকতা করবে । তার অর্থ এটা নয়যে কোটি কোট মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করবে।
0 মন্তব্যসমূহ