ধরে নিলাম -আপাকে খেদাই দেওয়াতে এবং ড.উইনুসকে দেখতারেনা বিধায় ট্রাম্প বাংলাদেশের উপর করারোপ করেছে। তাহলে বাকী ১৩ টি দেশের উপর নতুন কর আরোপ করলে কেন ?
সব চেয়ে কাছের বন্ধু প্রতিম দেশ মায়ানমার এর উপর সর্বোচ্ছ কর -৪০%। আর সর্বনিম্ন হলো ভিয়েতনাম -২০% । বাংলাদেশ মাঝামাঝি অবস্থানে ৩৫%। অবশ্যই এটা বাংলাদেশের জন্য বেশি। কারণ বাংলাদেশের জন্য এ কর ছিল আগে -১৬% সেটা বেড়ে এখন ৩৫% হলো।
প্রশ্ন হলো কেন এই অযাচিত বাণিজ্যিক কর। এটা না দিলে কি হত ? বহু দেশ-তো করের আওতায় আসেনি তাহলে উল্লেখিত কয়েকটি দেশের উপর এই বোঝা কেন। এর উত্তর খুঁজতে হলে একটু পিছনে যেতে হবে।
প্রথমত -ট্রাম্প নির্বাচনের আগ থেকেই ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন -জয়ী হতে পারলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সচল করার জন্য নতুন করারোপ করবেন -এবং অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করবেন। ইতোমধ্যে ট্রাম্প কয়েক হাজার অভিবাসীকে চাকরীচ্যুত করেছেন ।
দ্বিতীয়ত -যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকার মনে করে যেসব দেশ আমেরিকাতে পণ্য রপ্তানি সে হিসাবে আমদানি করেনা । তাই তাদের উপর করারোপ করলে তারা বিনিময় করতে বাধ্য হবে না করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
মূলত বাংলাদেশ মোট রপ্তানির ২০% পোষাক আমেরিকাতে রপ্তানি করে।যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট আমদানির ৭.২৬%। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করে ২% পণ্য। যার মধ্যে মেশিনারিজ ,মেডিক্যাল ইকুয়েপমেন্ট এবং দামী কিছু গাড়ী অন্যতম।এখন যদি বাংলাদেশ আমদানি পণ্য বাড়ায় কিংবা যুক্তরাষ্ট্রকে আরো অধিক বাণিজ্যিক সুবিধা দেয় তাহলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র এ বাড়তি করের ব্যাপারে বিবেচনা করবে।
এবারে দেখা যাক নতুন করের আওতায় -বাংলাদেশের সাথে আর কে কে সামিল হল -
#লাওস- ৪০ শতাংশ শুল্ক , #মিয়ানমার- ৪০ শতাংশ শুল্ক #থাইল্যান্ড- ৩৬ শতাংশ শুল্ক #কম্বোডিয়া- ৩৬ শতাংশ শুল্ক #বাংলাদেশ- ৩৫ শতাংশ শুল্ক #সার্বিয়া- ৩৫ শতাংশ শুল্ক #ইন্দোনেশিয়া- ৩২ শতাংশ শুল্ক #দক্ষিণ আফ্রিকা- ৩০ শতাংশ শুল্ক
#বসনিয়া ও #হার্জেগোভিনা- ৩০ শতাংশ শুল্ক #মালয়েশিয়া- ২৫ শতাংশ শুল্ক# তিউনিসিয়া- ২৫ শতাংশ শুল্ক #জাপান- ২৫ শতাংশ শুল্ক #দক্ষিণ কোরিয়া- ২৫ শতাংশ শুল্ক #কাজাখিস্তান- ২৫ শতাংশ শুল্ক।
দেখার বিষয় বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে কতটুকু কূটনৈতিক সফলতা অর্জন করতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে জাপান ,চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া -আমেরিকার পণ্যের উপর আমদানি কর বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ