রক্তাক্ত ইতিহাস --কাউকে করেছে নিঃস্ব কাউকে ক্ষমতা ছাড়া কাউকে দেশ ছাড়া। উদ্দেশ্য ছিল একটাই -হয়তো মুক্তি নয়তো মৃত্যু -!!
এ শ্লোগানকে বুকে ধারন করে জীবন বাজি রেখে তারা লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে -আন্দোলন কিংবা প্রতিরোধে। যাদের হাতে ছিলনা কোন মারণাস্ত্র কিন্তু যারা দমন করতে মাঠে নেমেছে তাদের ছিল শসস্ত্র। তবুও মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল -গন মানুষের মুক্তির জন্য।
আর শাসক গোষ্ঠী তীব্র দমন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছিলো ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাই আন্দোলন কারীদের বুক এবং মাথা নিশানা করে চালিয়েছে গুলি। যার ফলে -বহু তাজ প্রাণ ঝরে গেছে মিছিলে -রাজপথে কিংবা অলিতে গলিতে। মানুষের বুকে গুলি করে তাদের কখনও অনুশোচনা হতনা গুলি করে লাস এ্পিসি থেকে ফেলে দেয়া ,অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা -লাস পুড়ে ফেলা সব কিছুই করেছে তারা নির্দ্বিধায় নিঃসন্কোচে এবং নির্ভয়ে এজন্য হত্যাকান্ডের পরে তাদের মাঝে দেখা যেত বুনো উল্লাস।
তারা মনে করেছিল -আমৃত্যু তারা ক্ষমতায় থাকবে তাদের হটাতে পারবেনা কেউ। তারা যাই করে তাই ঠিক।৭১ সালে বাঙ্গালীর উপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল হানাদার বাহিনী ঠিক সেভাবে তারাও মনে করেছিল দেখা মাত্র গুলি চালালেই ক্ষমতা চিরস্থায়ীয় হয়ে যাবে -কিন্তু বিধি বাম।
আন্দোলন স্তিমিত হবার পরিবর্তে রূপ নেয় ভয়াবহ সংঘর্ষে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এক সময় সরকারের কথায় মাঠে নামলেও একটা সময় তারা উপলব্ধি করে।আমরা কাদের গুলি করছি -আমরা কাদের মারছি ,কেন মারছি ? এত মানুষের ক্ষোভ দাবী সত্যিই কি অপেক্ষিক না উপেক্ষা করার মত ? দেশের ছাত্র -জনতার উপর গুলি করার জন্যই কি আমাদের সৃষ্টি হয়েছে ?
আন্দোলন যখন চুড়ান্ত আকার ধারন করে তখন সেনাবাহিনী নমনীয় অবস্থান নেয়। ছাত্রদের দাবীর প্রতি সমর্থন জানায় এবং ছাত্র কিংবা আন্দোলন কারীদের উপর গুলি চালাতে পারবেনা বলে সরকারকে সাফ জানিয়ে দেন।তখনই টনক নড়ে সরকারের। পালাবার পথ খুঁজতে থাকে।আর তার দোসররা রং বদলাতে থাকে একে একে।
এখনও তারা আমাদের চারপাশে ঘাপটি মেরে বসে আছে সুযোগের অপেক্ষায়। সুযোগ পেলে তারা হায়নার মত ঝাঁপিয়ে পড়বে -বিজয়ীদের উপর।
বস্তুত পাকিস্তানী সৈন্য এবং দোসরদের আমরা যদি ৪৫ বছর পর বিচার করে ফাঁসির কাস্টে ঝুলাতে পারি -তাহলে ২৪ এর রক্ষীবাহিনীকে বিচার করতে পারবো কেন ?সেটা পুলিশ -বিজিবী -আর্মি কিংবা ক্ষমতাসীন দলের হেলমেট বাহিনী হোকনা কেন ?
0 মন্তব্যসমূহ