চলচ্চিত্র শিল্পের মত -কাটপিস ডুকে পড়েছে বিএনপিতে

 


বাংলা চলচ্চিত্রে যখন একটা সোনালী যুগ ছিল। তখন গুনি পরিচালকরা প্রতিযোগীতা করে ছবি বানাতো। পরিচালক প্রযোজক সবাই একের পর এক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়ে বিনোদন জগতটাকে মাতিয়ে রাখতো। এতে একদিকে যেমন লাভবান হতো প্রযোজক শিল্পী কলাকুশলীরা অন্যদিকে তেমনি হল মালিকরাও।
কালের পরিক্রমায় #মোহাম্মদ_হোসেন #এনায়েত_করিম #শাহাদাত_হোসেন_লিটন #স্বপন_চৌধুরী #আবুল_খায়ের_বুলবুল #শরিফখাঁন_দীপু #রাজু_চৌধুরী #পল্লী_মালেক #এজে_রানা #নাদিম_মাহমুদের র মত কিছু কুলাঙ্গার পরিচালক ও শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে। তখনই চলচ্চিত্রে শিল্পে অশ্লীলতা এবং কাটপিস সংস্কৃতি মাথা চড়া দিয়ে উঠে।
যার ফলে এ শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন -আলমগীর ,শাবানা,রোজিনা ,সুচরিতা ,ববিতা ,চম্পা ,রুবেল ,শাবনাজ, রানী ,কবরী-রা। আর খুব চাহিদা সম্পন্ন শিল্পী হয়ে গেল মুনমুন -ময়ূরী ,পলি,শাহনুর-সোনিয়া,একা,ঝুমকা ,নিশি ,নদী -প্রমুখরা।
এরপর থেকে একে একে গুনি পরিচালক এবং শিল্পীরা চলচ্চিত্র থেকে হারিয়ে যেতে লাগলো। শুরু হলো চলচ্চিত্র শিল্পের ধস। দর্শক খরায় মুখ থুবড়ে পড়লো এ শিল্পটা। একে একে বন্ধ হতে থাকলো হল গুলো। বেকার হয়ে পড়তে লাগলো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ গুলো। বিকল্প পথে পা বাড়ালো -এ জগতের মানুষ গুলো।
এখন রাজনৈতিক অঙ্গনেও কাটপিস শিল্প দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে -প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে।জেনুইন প্রোডাকের পরিবর্তে দলে প্রকাশ পাচ্ছে আওয়ামী ঘরোনা এবং মন মানসিকতা সম্পন্ন নেতাদের। এরা খুব সুক্ষভাবে বিএনপির পিঠে ছুরিঘাত করতে সুযোগ খুচ্ছেন। এতদিন এরা দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকলেও নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে তারা স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছেন। কিছুতেই বাকশালী মনোভাব দমীয় রাখতে পারছেন না।
এরা দুজনেই বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা। একজন কিশোরগঞ্জের (ইটনা মিঠামন ) ফজলুর রহমান আরেকজন পাবনার ঈশ্বরদী -হাবীবুর রহমান হাবীব। এরা দলকে ডুবানোর জন্য সর্বাত্মক মেধা বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। ইচ্ছেমত বয়ান দিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করে -সংঘাতকে অনিবার্য করে তুলছে। বলা বাহুল্য দুজনেই একসময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে মানুষ যখন গণতন্ত্রের সুবাতাস পাচ্ছিলো -তখনই এরা অন্তর্ঘাত এবং প্রতিঘাত মূলক বক্তব্য দিয়ে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। দলের সিনিয়র নেতারা আছেন তারা হয়তো বলতে পরবেন -এ দুজন দলের জন্য কতটা অপরিহার্য এবং দলের জন্য -বিগত জুলাই আগস্ট আন্দোলনে তাদের অবদান কি ?
সময় থাকতে এদেরকে যদি দল থেকে বহিষ্কার কিংবা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় -তাহলে আওয়ামী লীগের মত নির্ঘাত পরিণতিও বিএনপিকে ভোগ করতে হবে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ