সেন্টমার্টিনের বোতল অপসারনের জন্য এক মাস বন্ধ অথচ বিছানাকান্দি পাথর গায়েব হয়ে গেল আপনাদের অগোছরে ?


সিলেটের ভোলাগঞ্জের বিছানা-কান্দির -এই বেলাভূমির আয়তন কম করে হলেও দৈর্ঘ্য ০৫/৭ কিঃমিঃ প্রস্থ -১ কিলোমিটারের কম হবেনা।

ভোলাগঞ্জের নৌ ঘাটের পাশে আছে পুলিশ ফাঁড়ি আর বিছানা-কান্দিতে আছে বিজিবির ক্যাম্প।এর অদূরে ভারতের বিএসএফ ক্যাম্প।
এখানে যদি আপনি পাথরের হিসাব করেন -তাহলে সেটা হতে পারে কয়েকশত ট্রাক,নৌকা কিংবা ট্রলার। আর যদি টনে হিসাব করেন তাহলে পাথর হবে কয়েক হাজার মেট্রিক টন।
এ গুলো এক সপ্তাহে কিংবা এক মাসে অপসারণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এর জন্য লেগেছে কয়েক মাস।এ কয়েক মাসের ভেতরে বিজিবি .পুলিশ কেউ সেখানে যায়নি ?ডিসি এসপি ওসি কারো নলেজে ব্যাপারটি আসেনি ব্যাপারটি পুরাই হাস্যকর। বিজিবি কেন গুলি করেনি লুটেরাদের উপর। কেন ট্রলার আটকায়নি। পুলিশ কেন বিষয়টি জানার পরও চুপ ছিল ? যার অর্থ হলো -শত শত কোটি টাকার ডিল। ভাগ সবাই পেয়েছে তাই চুপ থেকে দায় সেরেছে।লাখ টাকা পেলে কেউবা চুপ থাকেনা ?
আপনি সেন্টমার্টিনের পলিথিন প্লাস্টিক বোতল অপসারণের জন্য -সেখানে পর্যটক নিষিদ্ধ করলেন এক মাসের জন্য -অথচ সীমান্তবর্তী একটি নান্দনিক প্রাকৃতিক লীলাভূমিতে মাসের পর মাস ধরে -চাঁদা ভাইয়েরা -পাথর তুলে নিল আপনি কিছুই জানলেন না -ব্যাপারটা শুনলে মৃত মানুষও হেসে উঠবে।
আমি বলছিনা যে -আপনি এর জন্য দায়ী কিন্তু কারো না কারো উপরতো এ দায় বর্তায়। যমুনা টিভির নিউজ যদি সামনে না আসতো তাহলে পুরো বিছানা-কান্দি যে প্রশাসনের নাগালের বাইরে চলে যেতনা এ কি গ্যারান্টি আছে ? তাহলে বিছানা কান্দি থেকে পুলিশ বিজিবি স্থানীয় প্রশাসন সব উঠিয়ে নেন। ফি সাবিনিল্লাহ হিসাবে ছেড়ে দেন ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ দায় কার উপর বর্তায় ?
স্থানীয় প্রশাসনের .পুলিশের, বিজিবীর , বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ?
আপনি হয়তো বলবেন -এটা বিএনপির লোকে করেছে । তাই বলে সে কি পার পেয়ে যেতে পারে কোন ভাবে ? বিএনপির চাঁদাবাজ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব হয়তো দলের নেই কিন্তু আইন ভাঙ্গলে তার বিচার এবং শায়েস্তা করার দায়িত্ব-তো সরকারের রয়েছে তাই নয় কি ?
যদি সে সামর্থ্যও আপনার/আপনাদের না থাকে তাহলে পদ নিয়ে নির্লজ্জের মত বসে আছেন কেন ?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ