শরীরের কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বিশ্রাম দেবার জন্য প্রতিটি মানব দেহের জন্য দিনে ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। এটা কোরানের নির্দেশনা এবং বিজ্ঞানের গবেষণার ফল। এর ব্যত্যয় হলে আপনার শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে বাধ্য।
একজন মানুষ ঘুম ছাড়া কতদিন থাকতে পারে ? সর্বোচ্ছ ৪৮ কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা। এর বাইরে গেলে আপনার শরীরে আর কাজ করার শক্তি থাকবে না।
কিন্তু আমরা কাজের জন্য -টাকার জন্য -পরিবারের সুখের জন্য কি করি ? উল্টো শরীরের উপরেই অত্যাচার শুরু করে দিই। যারা রাত জেগে টিভি দেখে কিংবা কম্পিউটারে কাজ করে -এদের যেমন আপনি সুস্থ মানুষ বলতে পারেন না। তেমনি যারা রাতের পর রাত জেগে গাড়ী চালায় নাইট ডিউটি করে এদেরকেও আপনি সুস্থ মানুষ বলতে পারেন না।তাই অসুস্থ মানুষ যেমন তার জন্য নিরাপদ নয় তেমনি আপনার জন্যও হতে পারে বিপদের কারন।
যারা গাড়ী ভাড়া দেন কিংবা টাকার জন্য নিজে গাড়ী চালান। তারা মনে করে টাকাই জীবনের সব রেস্ট কিংবা ঘুমের কি দরকার। ঈদের সময় আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন একজন ড্রাইভার কি পরিমাণ পরিশ্রম করে শরীরের উপর কেমন অত্যাচার করে। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে একটার পর একটা ট্রিপ মারতেই থাকে । অনেক সময় গাড়ীতে বসেই ঘুমায়। এটা কতটা বিপদজনক এবং ভয়ঙ্কর তা উপরের ঘটনা থেকে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছেন।
আমাদের মধ্যে আবেগ থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু আবেগের পরিমাণ এত বেশি থাকা উচিত না যে -যার জন্য সারা জীবন কাঁদতে হয়। আপনি বিদেশ থেকে দেশে আসলে -এয়ারপোর্টে কতক্ষণ অবস্থান করবেন ? ১০/২০ মিনিট কিংবা সর্বোচ্ছ আধা ঘণ্টা। এখানে কেন আপনার ফুল ফ্যামিলিকে উপস্থিত থাকতে হবে ? আপনি কি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা যে আপনাকে সম্বর্ধনা পেতেই হবে ?
তাহলে অযথা কেন -আত্মীয় স্বজনকে এয়ারপোর্টে ডেকে এনে -বিপদ ঘটান ? আধা ঘণ্টা পরেতো আপনি বাড়ীর দিকেই রওয়ানা দিচ্ছেন তাই নয় কি ? বুড়ো মা বাবা -সন্তান স্ত্রীকে অকারণে এয়ারপোর্টে ডেকে আনবেন না।
আর হ্যাঁ গাড়ীতে বসে সব সময় ড্রাইভারের দিকে লক্ষ্য রাখবেন সে কি ফোনে কথা বলছে নাকি ঝিমুচ্ছে ? এটা সবার জীবন মরণের প্রশ্ন।
0 মন্তব্যসমূহ