আজ সকালে যমুনা টিভিতে আরেক কাহিনী শুনলাম পদ্মা ব্যাংকের। মহিদউদ্দীন খান আলমগীর পেট্রাবাংলা -বিএসটি আই -বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশান সহ -১০/১২টি প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করেছে। এখন ব্যাংকটি বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ৭ হাজার কোটি টাকা দিতে পারছে না।কারণ তাদের কাছে ফান্ড নেই। ফান্ড নিয়ে গেছে মালিক পক্ষ। তারা বলছে -বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তাদের তারল্য সাহায্য না দেয় তাহলে তারা সহজে কারো পাওনা দিতে পারবে না । বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে এ মুহূর্তে তারা কোন সাহায্য দিতে পারবে না। যার অর্থ দাঁড়ায় দেশের অর্থনীতিকে কিভাবে অন্তঃসার শূন্য করে দিয়ে গেছে তা মূর্খদের দ্বারা বুঝা সম্ভব না। কেন এত ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হলো ,একটি দেশে কতটি ব্যাংকের প্রয়োজন ? এটার কতটা প্রয়োজনীয় ছিল ? উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার।
যদি এই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারে তাহলে তিতাস গ্যাস -পেট্রোবাংলা-BSTI সহ একাধকি প্রতিষ্ঠান -যখন বেতন বোনাস দিতে পারবে না -তখন কর্মচারীরা নামবে রাস্তায়। বদনাম হবে সরকারের । জনগণ বলবে সরকার দেশ চালাতে পারেনা অন্যদিকে এ টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুরে মোরাক্কাবায় বসছে এস আলম গ্রুপ। আর জেলখানায় তাসবীহ পাঠ করতেছে -এফ রহমান। এছাড়া অনেক মন্ত্রী এমপি লাপাত্তা। তাদের প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া।যার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে-শেয়ার মার্কেটে। আর তারা বিদেশে বসে দাবার গুটি মিলাচ্ছে কিভাবে আবার আপাকে ফিরিয়ে আনা যায়।
বিএনপি ক্ষমতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে , কিছু কিছু নেতার কথাবার্তা চলছে লাগামহীন ভাবে। তারা ক্ষমতায় আসলে কি কি ভয়ানক পরিস্থিতির মুখামুখি হবে এটা সম্পর্কে অনেক নেতার ধারনাই নাই। কারণ তাদের অনেকেই দেশের অর্থনীতি বুঝেনা -রাজনীতি বুঝেনা -বুঝে শুধু কখন নির্বাচন হবে কখন আমাদের গাড়ীতে পত পত করে পতাকা উড়বে । কখন আমাদের নেতাকর্মীদের মুখে হাসি ফুটবে ?
Exim ,first secu ,NBL ,Union ,Global Islami ,Padda Bank সহ আরো একাধিক ব্যাংক দেউলিয়া হবার পথে। আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রীদের কাছ থেকে যদি এসব টাকা আদায় করা না যায় তাহলে দেশে একটা বিশৃঙখলা পরিস্থিতী দেখা দিবে। সেটা সামাল দেবার মত অর্থনীতিবীদ ,রাজনীতিবীদ কিংবা বুদ্ধিজীবি কি আছে বিএনপিতে ? দিন যতই যাচ্ছে ততই মনে হচ্ছে এখানে মেধাবী লোকের চেয়ে আঁতেল বেশি।
0 মন্তব্যসমূহ