ক্ষমতার রাজনীতি আমাদের নৈতিকতা কেড়ে নিচ্ছে।

 


রাজনীতি কখনও ভদ্রতা শেখায় না কারন এটা স্কুল নয়। এটা হলো মানুষকে টাকা এবং ক্ষমতার মোহ দেখিয়ে তার শ্রম ও মেধা কিনে নেয়া্ । তাই এখানে শিক্ষিত অশিক্ষিত ভদ্র অভদ্র সবাই আসতে পারে।এজন্য আপনাকে ভদ্রতা শিখে আসতে হয়না। বস্তুত শিক্ষার মূল্য রাজনীতিতে নেই -তাই এখানে যেমন অশিক্ষিত লোক আপনার নেতা হতে পারে তেমনি শিক্ষিত লোকও দল করার কারণে বিবেক বুদ্ধি এবং নৈতিক নৈতিকতা বিসর্জন দিতে পারে।

এ কারনে আমরা প্রায়ই দেখি-রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও ক্ষমতার জন্য ভদ্র শিক্ষিত কিংবা সম্মানিত ব্যক্তিদেরও অশিক্ষিত মানুষের কাছে অপদস্থ কিংবা অপমানিত হতে হয়।
মজার ব্যাপার হলো -কর্মীরা কোন অন্যায় করলে নেতারা সেটার দায় নেয়না তবে সাফল্য এনে দিতে পারলে ভিন্ন কথা। যার কারনে কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন গুরুতর অভিযোগ উঠলেও দল এটার কোন বিচার করেনা বরং মজা নেয় বাহবা দেয়-কারণ ক্ষমতাটাই এখানে মূর্খ্য বিষয় কারো সম্মান নয়। এজন্য একটা সময় এসে বিপক্ষ দলের কাছে সম্মানীত ব্যক্তিদেরও অপদস্থ কিংবা অপমানিত হতে হয়।
সাদেক হোসেন খোকাও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। তার জন্য কোন নেতাকে দুঃখ প্রকাশ করতে কিংবা মাফ চাইতে দেখেনী। এমনকি এ ঘটনার কোন তদন্ত হয়নি দেয়া হয়নি দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি। এ দেশে বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ক্ষমতাশীন দলের নেতা কর্মীদের কিংবা পুলিশের হাতে নিগৃহিত আহত কিংবা অপদস্ত হয়েছে কিন্তু তার কোন তদন্ত বা বিচার হয়নি কখও।
যদি এসব অভিযোগের তদন্ত কিংবা বিচার হত -তাহলে দেশের প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাই আজ যথাযথ সম্মান নিয়ে মাথা উচু করে যে কোন রাজনৈতিক দল করতে পারতো। । তাই আগে যারা কেঁদেছিল এখন তারা হাসে -আবার এখন যারা কাঁদতেছে একদিন হয়তো তারাও হাসবে কিন্তু এ অসুস্থ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসাটা খুব জরুরী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ