নুরের উপর আক্রমন অশুভ ইঙ্গিত




নুরকে নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তাকে আমার মত অনেকেই অপছন্দ করতেই পারেন.:ধরে নিলাম জাতীয় পার্টি বন্ধ করার দাবি করা তার উচিত হয়নি -কিন্তু তাকে টার্গেট করে এ ধরনের নির্যাতন গণতন্ত্রের পিঠে ছুরি-ঘাত এবং অন্যান্যদের জন্য একটা বিশেষ বার্তা বহন করে।

কারণ নুরই-একমাত্র ব্যক্তি যিনি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাই প্রতিবাদ মুখর ছিলেন এবং বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র তুলে ধরেছেন যা বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি কেড়েছে। শত নির্যাতন এবং প্রলোভন দিয়েও নুরকে দমানো যায়নি।তার শরীরের এমন কোন অংশ খুঁজে পাওয়া যাবেনা সেখানে ছাত্রলীগের আঘাত করেনি।
আজকের সারজিস ,নাহিদ, হাসনাত, আসিফদের প্রেরণা এই নুরুল হক নুর।কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেপথ্যে যে কজন কলকাঠি নেড়েছে তারমধ্যে অন্যতম হলো - নুর .আন্দালিব রহমান পার্থ,তারিক রহমান এবং আব্দুল্লাহ আউয়াল মিন্টু। কারণ সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া -নেতা কর্মীদের পৃষ্টপোষকতা করা-ব্যানার পেস্টুন -পোস্টার তৈরি করা -আন্দোলন কারীদের নুন্যতম যাতায়াত খরচ দেয়া এবং পানি ও খাদ্য সরবরাহ করার জন্য বিশাল একটা অংকের প্রয়োজন পড়েছে।সেটা কেউনা কেউতো ব্যাকআপ দিয়েছে ?
কোটা আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন সবারই পরিকল্পনা ছিল সরকারকে চাপে ফেলে জনমত সৃষ্টি করা এবং দাবী আদায় করা। কিন্তু পরবর্তীতে নির্যাতনের মাত্রা যখন অতিক্রম করে -তখন নুরের নেতৃতেই সম্মিলিত ভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে -এক দফা ছাড়া তাদের আর কোন গতি নেই। তাদের সামনে দুটো পথ খোলা -হয় মৃত্যু না হয় সরকার পতন।। সেটার সফলতা দেশের মানুষ পেয়েছে।
এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নুরকে এভাবে ন্যক্কারজনক ভাবে মারার পিছনে কয়েকটা কারণ হতে পারে -১. বিপ্লবীদের একে একে পঙ্গু করে দেয়া ২. নির্বাচন বানচাল করে দেয়া যাতে -এ গভঃ বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে না পারে। ৩.সেনাবাহিনীর একাংশ এখনও হাসিনা প্রীতি আছে তাই তারা যে কোন ভাবে আওয়ামীলীগ এবং জাতীয় পার্টিকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে চায় । ৪.মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা ও মব সৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর একাংশের বিরক্তি ছিল তাই তারা সুযোগের সত ব্যবহার করেছে ৫. জনগণ যাতে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতার গ্রহণ আহবান জানায়। ৬.বর্তমান সরকারের সাথে জুলাই আন্দোলন কারীদের একটা দূরত্ব তৈরি করা। ৭. মব সৃষ্টি বা আর কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের শ্লোগান না তুলা ৮. সরকার এবং জুলাই বিপ্লবীদের একটা দুরত্ব তৈরি করা। বাকী দুটো কারন হতে পারে -৯. সেনাবাহিনীকে ভুল বার্তা দেয়া ১০. উপরের নির্দেশ ছাড়াই অতি উতসাহী সৈনিকদের বাড়াবাড়ি করা।
নচেৎ -
এভাবে নুরকে টার্গেট করে পশুর মত সেনা সদস্যদের নির্যাতনের কোন ব্যাখ্যা থাকতে পারেনা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে লাল গেঞ্জি পরা লোকটা কোন বাহিনীর ।তাহলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ