বিশ্বের সাবেক মন্ত্রী প্রেসিডেন্টরা ক্ষমতা শেষে ফিরে যায় আপন পেশায় ব্যতিক্রম আমাদের দেশে।


ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট #আহমেদ_নিজাত বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট #বারাক-ওবামা ক্ষমতা শেষে একটি কোম্পানীর সিও হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। #বিল_ক্লিনটন একটি একটি প্রফেশনাল একাডেমী গড়ে তুলেছেন যেখানে স্কলারদের ক্লাস নেয়া হয়। ড.ইউনুস সে একাডেমীতে গিয়ে একবার লেকচারও দিয়ে এসেছেন।
#হিলারি-ক্লিনটন আবার যুক্ত হয়েছেন আইন পেশার সাথে। পাশাপাশি রাজনীতিও করেন। #জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর #এঞ্জেলা_মার্কেল ফুল টাইম পার্টি অফিসে সময় দেন। এ জন্য তার বাসা ভাড়া অন্যান্য খরচ বাবত পার্টি থেকে তাকে বিশেষ সম্মানী দেয়া হয়। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর #ডেভিড_ক্যামেরন এখন সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী । ফ্যান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট #এ্যামানুয়েল_মার্কো বর্তমানে বিরোধীদলের নেতা হিসাবে রাজনীতি করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে কেউ একবার মন্ত্রী এমপি হয়ে গেলে- পুরাণ পেশায় কেউ আর ফিরে যেতে চায়না। ক্ষমতা হারিয়ে কাউকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় কাউকে আবার যেতে হয় জেলে। কারণ ক্ষমতায় একবার অধিষ্ঠিত হতে পারলেই সব কিছুতে আমি আসে। আমরা শব্দটি মুখ থেকে বের হয়না।
মুখে সাম্য -গনতন্ত্রের কথা বলে তলে তলে নিজের আখের গোচিয়ে পরিবারের সদস্যদেরও পকেটের স্বাস্থ্য ভালো করার দায়িত্ব নিয়ে নেন। ক্ষমতা গিয়েই চিন্তা করেন কিভাবে একযুগ পায়ের উপর ঠ্যাঙ তুলে খাওয়া যায়। অথবা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে নেয়া যায় যাতে কেউ তাকে আর ক্ষমতা থেকে না নামাতে পারে।
এজন্য কোন পরিবারের সন্তান যখন রাজনীতির সাথে যুক্ত হয় তখন মা বাবা আর বাধা দেয়না।তারা জানে এ পথে পা বাড়ালেও তার শত্রুর সংখ্যা বাড়বে। তার জীবনে নানান ঘাত প্রতিঘাত নেমে আসবে এরপরও তারা অপেক্ষায় থাকে ছেলের ভবিষ্যৎ কবে উন্নতি লাভ করবে।কবে রাজনীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা শুরু করবে।
অর্থাৎ কাগজে কলমে রাজনীতি সেবা হলেও বাস্তবে এটা হয়ে যায় পেশা।ক্ষমতা চলে গেলে দেখা যায় - কারোরেই হাজার কোটি টাকা নীচে আত্মসাৎ কিংবা অবৈধ আয়ের মামলা নেই। আর এমপিদের বেলায় হলো শত শত কোটি। এমন পেশার জন্য বুক পেতে দিতে কার না ভালো লাগে।
এজন্য -সেনা কর্মকর্তা,পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারী আমলা চাকুরী থাকতেই সিদ্ধান্ত নেয় অবসরে গিয়ে কোন দলে যোগ দিবে। একই ভাবে উকিল ,সাংবাদিক , অভিনেতা গায়ক নায়ক নায়িকা সবারই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় রাজনীতি। এমনকি বিচারকও এর থেকে বাদ যায়না।
কারণ সবাই জেনে গেছে এটা একটা লাভজনক পেশা।এখানে মেধা কিংবা টাকা বিনিয়োগ করলে ফিডব্যাক আসে গ্যারান্টি সহকারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ