মুসলমান হিসাবে আপনি কখনও চাইবেন না যে -আপনার কিংবা আপনার আত্মীয় স্বজনের মৃত্যুর পর -বিনা জানাযায় তা দাফন করতে । তেমনি চাইবেন না -
১.ইসলাম ধর্মের রীতি নীতির বাইরে গিয়ে আপনি কবর না দিয়ে লাস পুড়িয়ে ফেলতে কিংবা নদীতে ভাসিয়ে দিতে।
২.শরিয়তের নিয়মের বাইরে গিয়ে -মানুষের স্ট্যাটাসের কথা চিন্তা করে কবর টাইলস করে ,কিংবা ৩.৫ হাতের জায়গায় ৪ হাত কিংবা ২ হাত কবর খুড়ে লাস রাখতে।
৩. কখনও চাইবেন না যে -শরীয়তের নিয়মের বাইরে গিয়ে কাফনের কাপড়ের পরিবর্তে লাসকে দামী স্যুট প্যান্ট পরিয়ে কিংবা সোনা দানা দিতে মুড়িয়ে দিতে।
৪.কখনও এটা সমর্থন করবেন না যে -লাসের মাথা দক্ষিণে রেখে মাথা উত্তর দিকে দিতে । তেমনি পশ্চিম দিকে মাথা কিংবা পা দিয়ে কবর দিতে।
৫ .নিজে নামাজ পড়েন বা না পড়েন কখনও এটা চাইবেন না যে -কেউ কাবার ঘর কিংবা নবী রসুল নিয়ে কটাক্ষ করুক।কারন আপনি মুসলমান হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনাকে একাত্বাদে বিশ্বাসী হতে হবে এবং ধর্মগ্নন্থের ব্যাপারে অকুন্ঠ বিশ্বাস থাকতে হবে।
৬.এটাও কামনা করবেন না যে -কেউ আমাদের পবিত্র গ্রন্থ নিয়ে কথা বলুক কিংবা বিকৃত করুক।
৭. এখন কেউ যদি বলে আসমানী কিতাব মিথ্যা -কোরান মিথ্যা তাহলে এটা কি আপনি মেনে নিবেন ? নাকি নিজের স্বার্থ বিবেচনা করে তাকে সমর্থন জানাবেন।
৮. মুসলমানরা নিজে ধর্ম পালন না করলেও এটা বিশ্বাস করে যে -আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় নবী সঃ একমাত্র রসুল ও শেষ নবী। তার পরে আর কোন নবী আসবেন না ।
৯. তবে কেয়ামতের পূর্বে ইমাম মাহদী আবির্ভূত হবেন -তাকে সাহায্য করার জন্য ঈসা আঃ আসবেন। ইমাম মাহদীর মৃত্যু হলেও শেষদিন পর্যন্ত ঈসা আঃ বেঁচে থাকবেন। তারা ইয়াজুজ মাজুজ এবং দজ্জাল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করবেন।
১০. সুতরাং কেউ যদি নিজকে ইমাম মাহদী দাবী করে তাহলে সেটা হবে ভণ্ডামি এবং কেউ যদি কাবা ঘরের প্রতিকৃতি তৈরি করে যেটা হবে চরম দৃষ্টটা। কেউ যদি কালেমা পরিবর্তন করে সেটা হবে ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান করার শামিল।
আবার এটাও সত্য যে -কারো লাস পুড়িয়ে পেলা ,ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধানো ,কারো বাড়ী ঘর পুড়ানো ইসলাম কখনও সমর্থন করেনা।
এসব কিছু সামাল দেবার ক্ষমতা আছে শুধু প্রশাসনের।কারন আমাদের দেশ আরব ভুমি নয় যে -কেউ মাজার কিংবা পীর বলে দামী করতে পারবে না। এখানে প্রচুর ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে।
এখন প্রশাসন যদি ধর্মটাই না বুঝে এবং দর্শকের ভূমিকা পালন করে -তাহলে হুজুগে বাঙ্গালীদের আইন-ভাঙ্গা এবং ধর্মের বিরোধী কাজ করা একটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে।
তাই প্রতিটি প্রশাসকের যেমন দেশের আইন সম্পর্কে জানা দরকার তেমনি ধর্ম বিষয়েও পড়াশুনা করা দরকার। তাহলে যে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়ানো যায় অতি সহজে।
0 মন্তব্যসমূহ