১. তোমরা শিক্ষকের সাথে গলা উঁচিয়ে টেবিল চাপড়িয়ে কথা বলে প্রমাণ করতে চাও এ সংগঠনে বেয়াদবি শিক্ষা দেয়া হয় ?
২. তোমরা নির্বাচনের কৌশল জাননা। কিভাবে আদর্শ বিস্তার করতে হয় ,কিভাবে সহপাঠীদের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়াতে হয় ,কিভাবে মেধার বিকাশ ঘটাতে হয় কিভাবে নেতৃ্ত্ব দিতে হয় ,কিভাবে রাজনীতি করেও নৈতিক চরিত্রের উত্তরণ ঘটাতে হয় তা তোমাদের জানা নেই। এছাড়াও -
৩. হাইকোর্টে নির্বাচন বন্ধের সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলে আবিরের উদ্বত্যপূর্ণ আচরণ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ভালো-ভাবে নেয়নি। তার সে বক্তৃতা অনেকের কাছেই নেতা সুলভ আচরণ না হয়ে সাদ্দাম সুলভ আচরণ হয়ে গেছে।
৪. ছাত্র শিবিরকে রাজাকার/পাকিস্তানী স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ দিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ ছাত্রলীগ এ তকমা দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল। তাই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিবিরের প্রতি একটা সফট কর্নার তৈরি হযে গেছে।
৫..আগস্ট আন্দোলনে যারা সহযোদ্ধা ছিল তাদেরকে হটাত করেই প্রতিপক্ষ হিসাবে উপস্থাপন করে বাম জোটের সাথে মিলে প্রকাশ্য বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে। কারণ সাধারণরা বামদের দেখতে পারেনা। তারা মনে করে বাম মানেই ভারত কিংবা আওয়ামী পন্থী।
৬. অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আবিদকে ভিপি পদের জন্য হটাত করেই মনোনীত করা হয়েছে যার জন্য সে যথেষ্ট সময় পায়নি। কিন্তু সাদেক /ফরহাদদের মনোনয়ন হয়েছে কয়েক মাসে আগে -যার জন্য তারা সাধারণ ছাত্র -ছাত্রীদের কাছে পৌছানোর সময় পেয়েছে।
৭. ব্যক্তিগত আচার আচরণ -বডি ল্যাঙ্গুয়েজ -বাচন ভঙ্গি-সভা সমাবেশে বক্তৃতা .চ্যানেল গুলোতে সাক্ষাতকার একজন মানুষকে আকৃষ্ট করে। এসব দিক দিয়ে শিবির এগিয়ে কারণ তাদেরকে উপস্থাপনা এবং বক্তৃতাও শিক্ষা দেয়া হয়। এমনকি পোষাকর ব্যাপারেও তাদের ইনস্টাকশান ফলো করতে হয়।
৮. জাতীয় পর্যায়ে বিএনপির নেতা নেত্রীদের উদ্ভট কথা বার্তা আচার আচরণ এ নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে । অনেকে ভাবতে শুরু করেছেন ছাত্রদল ছাত্রলীগের আধুনিক ভার্সন এরা ক্ষমতায় এলে ছাত্রলীগের চেয়ে ভয়ন্কর হবে -এজন্য প্রতিটি ফ্যামিলির বাবা মা -তাদের সন্তানদের প্রার্থী মনোনয়নে ভূমিকা রেখেছে।
৯. সারা দেশে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি দখলবাজি হত্যা ধর্ষণ মব সৃষ্টিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম চলে এসেছে ব্যাপক হারে-আবার বিএনপি থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে কিন্তু সেটা অদ্যাবধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি ক্রমেই তালিকাটা দীর্ঘ হ্চছে।
১০. .ছাত্র শিবিরের কোন ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ,খুন ,চাঁদাবাজি -শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবির প্রমাণ নেই -তারা মেধাবি বাকপটু এবং চারিত্রিক দিক দিযে সবার চেয়ে আলাদা। তাদেরকে কখনও নেশা করতে দেখেনি। এটা ছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।।
সর্বশেষে বলা চলে -তুমি রিয়ালিটি মাইনা নাও ---ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে কেউ বড় হয়না। যা কিছু হয়ে গেছে তার থেকে শিক্ষা নাও।
0 মন্তব্যসমূহ