সম্মান কখনও জোর করে আদায় করা যায়না।

 গল্প নয় সত্যি :- 

#হিটলার কোনো এক রাতে ছদ্মবেশে #বার্লিন এর সবচেয়ে অভিজাত সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে গেল। উদ্দেশ্য সিনেমা দেখা নয়। হাফ টাইমে হিটলারের ছবি পর্দায় ফুটে উঠলে সকলে দাঁড়িয়ে সম্মান করছে কিনা, সেটা দেখতে।

হাফ টাইমে পর্দায় হিটলারের ছবি ভেসে উঠতেই  সকলে দাঁড়িয়ে হিটলারের গুণকীর্তন শুরু করে দিলো। হিটলার দাঁড়াল না, কারণ সে  নিজেইতো হিটলার। কিন্তু এটা তার মাথায় ছিলো না যে সে ছদ্মবেশে এসেছে ... হিটলার বেশে নয়। 

চারিদিকে হিটলারের জয়ধ্বনি। 

শুনে হিটলার ভীষণ আনন্দিত হয়ে উঠল। হিটলারের পাশে থাকা মানুষটি জয়ধ্বনি দেওয়ার ফাঁকে লক্ষ্য করেন তার পাশের ব্যক্তিটি বসে রয়েছে। তিনি ছদ্মবেশী হিটলারের উদ্দেশ্যে বললেন -- "দাঁড়িয়ে যাও ভাই হিটলারের জয়ধ্বনি দাও। নইলে শুয়োরের বাচ্চা হিটলার আর তার পোষা কুকুরের দল (নাৎসি বাহিনী) তোমাকে আস্ত রাখবে না। "

#যমুনা_গ্রুপের চেয়ারম্যান  #বাবুল_সাহেবের কত টাকা ছিল এবং কতজন কর্মচারী ছিল এটা মনে হয় উনি নিজেও জানতেন না।স্বাভাবিক ভাবে সব কর্মচারীকে উনার চেনারও কথা না। (যদিও তার মৃত্যু হয়েছিল -করুন ভাবে। আজ পর্যন্ত  একটা হাসপাতাল করতে পারেনি এই যমুনা গ্রুপ) 

একদিন কোন এক কাজে উনি পায়ে হেঁটে অফিসে যাচ্ছিলেন। ( আমার ঠিক মনে নেই এটা কোন অফিস) হটাত লক্ষ্য করলেন একটা  গার্ড ওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে। উনি প্রথমে বুঝতে পারেনি এটা তার অফিসের কর্মচারী। সে গার্ডকে ডেকে বললো -এই তুমি এখানে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছো কেন? কোথায় চাকুরী কর তুমি ?

তখন দারোয়ান বললো -বাবুল্যার অফিসে নুতন চাকুরী নিসি, ডিউটির ফাঁকে একটা সিগারেট টানতে আইছি। এখনই চলে যাব।  

বাবুল সাহেব তখন অপ্রস্তুত হয়ে বললো -তুমি কি উনাকে চিন দেখেছো কোনদিন ? দারোয়ান তখন উত্তর দিল , আমিতো অল্পদিন ধরে চাকুরী করি এখনও দেখেনি কোনদিন  -শুনছি সে নাকি একটা আহালে -মাদারবোর্ড -একটু উল্টা পাল্টা হলে লোকজনকে ধরে মারে। 

বাবুল সাহেব আর কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে চলে গেলেন অফিসে। অফিসে গিয়ে ডাকলেন সিকিউরিটি ইন-চার্জকে।



ঠিক একমাস পরে সে দারোয়ান জানলো তার চাকুরী নেই। কেউ জানলো না তার কি কারণে চাকুরী গেছে। 

পুনশ্চ : সম্মান কখনও জোর করে আদায় করা যায়না।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ