ওসি প্রদীপ এবং এডিসি হারুন মুদ্রার এপিট-ওপিট। এ দেশে শত শত প্রদীপ এবং হারুন আছে লাগামহীনতায় তারা সরকারের ঘাড়ে চেপে বসে আছে।

 


ধরেন -ওসি প্রদীপ মেজর সিনহাকে মারেনী কিংবা এডিসি হারুন ছাত্রলীগের কর্মীকে বেধড়ক পিটাইনি। তাহলে কি আপনি মনে করেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার আর হারুনের চার ছক্কার কাহিনী কেউ জানতো ? হয়তো জানতো কিন্তু আইনের আওতায় আসতো না।এটা হলপ করে বলতে পারি।

মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে না। মানুষ আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধেও না।কারণ আওয়ামীলীগ সব কাজই খারাপ করছে এমন না। আসলে মানুষ দুঃশাসন নির্যাতন আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং সুবিচার না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। ওসী প্রদীপ কতো মানুষকে হত্যা করেছে তার কটির বিচার হয়েছে ? যেসব পরিবার দিনের পর দিন -বিচার না পেয়ে আল্লাহর আরশের দিকে তাকিয়ে আহাজারি করেছে তাদের কষ্ট কি আমরা একবারও উপলব্দি করার চেষ্টা করেছি ?

এডিসি হারুন-কতজন সাংবাদিক পিটিয়েছে -কতজন শিক্ষকরের গায়ে হাত তুলেছে -কতজন কোটা আন্দোলন কারীকে ,ছাত্রীকে,নুরুল হক নুরুর কর্মীকে কিংবা বিএনপির কর্মীদের পিটিয়েছে তার কি কোন জবাব দিহী করা লেগেছে  ?এসব ঘটনা কি পত্র পত্রিকায় ,সাংবাদিকদের লেখায় বিভিন্ন চ্যানেলে কিংবা সরকারের আইন প্রনেতাদের নজরে আসেনী ? বিশ্ববিদ্যালয়ের একান্ত বাধ্যনুগত ভিসি স্যার কি এসব ঘটনা  কারো কাছ থেকেই শুনেনি ?

উত্তর হবে হ্যা। কিন্তু সরকারের স্বার্থ রক্ষীত হচ্ছে বিধায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হযনি। দেখা হয়নি আইনের বরখেলাপ হয়েছে কিনা কিংবা সীমা অতিক্রম করেছে কিনা। তাই তিনি বা তাহারা ভেবেই নিয়েছেন উনারা যাহা করেন তাহাই সিদ্ধ। চাকুরীটাও হয়তো পেয়েছেন দলীয় কোটায়। ফলশ্রুতিতে আজ তার আক্রোশের শিকার হতে হলো -খোদ সরকার দলীয় ছাত্র সংঘঠনের নেতা কর্মীদেরই।

এডিসি হারুন বরখাস্ত হলেন, চাকুরী ফিরে পাবেন কিনা জানিনা। তবে যেভাবে তিনি নিরাপরাধ মানুষকে কিংবা ছাত্রদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন তার ক্ষত শুকিয়ে গেলেও তারা দূর্বিষহ স্মৃতি কেউ কখনও ভুলতে পারবে না। এ ধরনের শত শত প্রদীপ আর হারুন মাথা উচু করে আছে দেশের আনাছে কানাছে। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বীর দর্পে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে দিচ্ছেন নিরাপরাধ মানুষের উপর। সরকারের স্বার্থ রক্ষিত হয় বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। সরকারও নীরব। আসলে মানুষের গন অসন্তোষ শুধু তাদের বিরুদ্ধেই। যাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এদেের কারনেই সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ার পরিবর্তে দিনে দিনের হ্রাস পাচ্ছে। 

একদিকে দ্রব্যমুল্য অন্যদিকে দুঃশাসন আজ গন অসন্তোষে পরিনত হয়েছে।সেটা বুঝেও সরকার মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে নেবার চেষ্টা করছে। অবস্থা এমন যে কাটা গেল পা-মলম লাগাচ্ছি পিঠে। যদি পুলিশের এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার হত তাহলে  এদেশের ৯৮% মানুষ যেমন এক সময় সমর্থন করেছে এখনও সেভাবেই করতো। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ