ইসরাইলে যখন হামলা হয় -তখন আমেরিকার কলিজাতে লাগে কিন্তু ফিলিস্তিনে হামলা হলে এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

 


ইসরাইলে যখন হামলা হয় -তখন আমেরিকার কলিজাতে লাগে কিন্তু ফিলিস্তিনে হামলা হলে এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এটাই বর্তমানে ৫২টি মুসলিম দেশের ভাষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্য প্রাচ্যের চারটি দেশ -সৌদি-তুরস্ক-ইরান-লেবানন -ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে । অন্যদিকে -সিরিযার বিদ্রোহীদের একাংশ এবং ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীরা ফিলিস্তিনের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। একটা রাষ্ট্র পাশে থাকা আর রাষ্ট্রের কিছু মানুষ থাকা এক জিনিষ নয়। ফিলিস্তিনের বিশাল অংশ কব্জা করে রেখেছে -ইসরাইল। তাদের একদিকে আছে ভূমধ্যসাগর -অন্যদিকে সিরিয়া -জর্ডান -আর লেবানন।লেবানন ছাড়া বাকি সীমান্ত গুলো নিয়ন্ত্রণ করে ইসরাইল। যদিও মিশরের সাথে গাজার কিছু সীমান্ত এলাকা আছে। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের চরম বিশ্বাস ঘাতক এ রাষ্ট্র -এবং আমেরিকার মদদ-পুষ্ট মিশর সরকার- এ কঠিন মুহূর্তে ইসরাইলের ভয়ে গাজায় ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। যার ফলে গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। অন্য কোন রাষ্ট্র ইচ্ছা করলেই ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পারছে না -কারণ ভূমধ্যসাগরেও ফিলিস্তীনিদের অধিকার শুধু ১০০০নটিকাল মাইল। বহিঃরাষ্ট্রের কোন জাহাজ কিংবা ত্রাণ পাঠানো ইসরাইলের মর্জির উপর নির্ভরশীল। অথচ গাজার নারী শিশুদের আর্তনাদে যেখানে পুরো মুসলিম বিশ্ব সরব সেখানে -প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্র মিশর নীরব।তাদের নীরবতায় শত শত মুসলমান অর্ধাহারে অনাহারে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে -আর সুবিধা নিচ্ছে আমেরিকা আর ইসরাইল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ