শরিফাদের অত্যাচার যেমন রাস্তায় গাড়ীতে আছে তেমনি আছে -পাঠ্য বইতেও।


ভেসে থাকা মানুষ গুলো কই যাবে -তাদেরও-তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে কর্ম সংস্থানের দরকার আছে। আমি হিজড়া /ট্রান্স-জেন্ডার কিংবা শরিফাদের কথা বলছি। 

হতে পারতো -গ্রামের মহিলাদের মত-কুটির শিল্পের মত কাজে তাদের নিয়োগ করা  কিংবা গার্মেন্টস সেক্টরে ।

হতে পারতো শহরে পরিষ্কার পরিছন্নতা  কিংবা ট্রাফিকদের সহযোগী হিসাবে তাদের নিয়োগ করা কিংবা সিটি কর্পো: অধীনে বলোন্টিয়ার হিসাবে তাদের কাজে লাগনো -কিন্তু কিছুই হয়নি। তাই তারা বাধ্য হয়েই  তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে /অত্যাচার করে। বিশেষ করে শহরের বাসে গ্রামের হাঁট বাজার কিংবা বিয়ে বাড়ীতে/অনুষ্ঠানে।  

যারা শরিফাদের পক্ষে কথা বলে -এদের বেশির ভাগ চলে প্রাইভেট গাড়ীতে। তাদের শরিফাদের কবলে পড়তে হয়না। গ্লাসে নক দিলেও এরা দরজা খুলেনা -তাই বাসের প্রতিটি যাত্রীকে পড়তে হয় -এদের খপ্পরে। আপনি যদি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন -তাহলে মান সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারবেন না। আপনি যদি কোন টাকা পকেট থেকে বের করেন -এরা ছো মেরে  নিয়ে চলে যাবে ।আপনি -বাসে কট্রাকটারদের বলেও প্রতিকার পাবেন না -আবার পুলিশের কাছেও না। 

তাই আপনাদের মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে -গাড়ীতে রাস্তায় এমনকি পাঠ্য বইতেও। যারা চ্যানেলে বসে টেবিল গরম করেন ফেসবুকে ঝড় তুলেন -এদের কি কখনও দেখেন -শরিফাদের পাশে দাঁড়াতে । পারলে একটা ছবি বা রেফারেন্স আমাকে দেখান।

তাদের অধিকার নিয়ে -শারীরিক ট্রাসপার নিয়ে কেন ০৭ম শ্রেনীর বইতে এটাকে অন্তভুক্ত করতে হবে। ০৭ শ্রেনীর ছাত্রদেরতো আপনি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনি -কারিগরি বিষয় কিংবা ধর্মীয় বিষয় অন্তভু্ক্ত করতে পারতেন । বধির ,অন্ধ কিংবা অটুষ্টিকের সংখ্যা কি এ দেশে কম  এগুলো কি পাঠ্য বইতে আসতে পারতো না ? শরিফাদের কাহিনী কেন এত গুরুত্বপূর্ন হয়ে গেল আপনাদের কাছে ?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ