২০২০ সালের কথা । ট্রেনে আসছিলাম -কোলকাতা থেকে। আমার হাতে লাগেজ ছিল দুটো। এটা চিতপুরের ইমাগ্রেশান এর চোখে পড়ে। আমাকে নিয়ে যায় ভেতরের রুমে। আমিতো কনফিডেন্স অবৈধ কিছু নেই এক টাকাও দিবনা। আমাকে অফিসারের রুমে নিয়ে যাবার পর দেখলাম -সবার সাথে দামাদামিতে ব্যস্ত। আমাকে বললো -দাদা মার্কেটিং করেছেন যে -ভাউচার আছে -আমি বললাম অবশ্যই আছে। এরই ফাঁকে আরেকজন এসে বলে -দাদা অনেক-তো বাজার করলেন আমাদেরকে কিছু দিয়ে যান। আমি বললাম আপনাদের আবার কি দিব -জবাবে বললো -দিয়ে যান সামান্য কিছু হলেও আপনাকে হয়রানি করতে চাইনা -বললাম টাকাতো সব শেষ ৫০ টাকা আছে -এটা হলে চলবে ? বললো ওটাই খুশী মনে দিন দাদা -আপনার ট্রেন ছেড়ে দিবে ---
কাকতালীয় ভাবে এবারও দেখলাম সে অফিসার বেনাপোলে। যাবার সময় আমার সাথের যাত্রীর সাথে একটা মেশিনের মাদার বোর্ড ছিল। মনে মনে বললাম -শালায়-তো বড্ড ফাপর বাজ -এটা ধরলে-তো টাকা ছাড়া ছাড়বে না। আমাকে কিছুই বললো না -আমার সাথের যাত্রীকে ঠিকই আটকিয়ে ১০ হাজার টাকা আদায় করে ছাড়লো। আমিতো ইমেগ্রেশান পাস হয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। তাকে বললো -আপনাকে যেতে দিবনা নইলে অফিসারের কাছে নিয়ে যাব -টাকা ছাড়ুন ১০। নইলে হবেনা। সে ০৫ হাজার টাকা দিতে চাইলো কিন্ত অগত্যা বাধ্য হয়ে ১০ টাকা হাজার টাকা দিয়ে পার হলো।
তার সাথে এক আবুলকে ধরলো। সে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছিল ভারতে। তাকে ভেতরের রুমে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দিল।
৩/৪ মাস আগেও আমি গিয়েছিলাম কলকতায়। আসার সময় আমার পাশে পেলাম এক ভদ্রলোককে। তার মেয়ের জামাই -মাজিষ্টেট ছেলে আর্মি অফিসার। আমাকে বললো আন্কেল আপনার কোন ভয় নেই। আমাদের কাস্টমস ধরলে আমি আছি। যাই হোক আমাদের আর ধরেনী -আমাদের পরে একজন এসেছে তার লাগেজ বড় দেখে একবার ধরেছে -বিডি আর। তার এক কাজিন চাকুরী করে -আর্মিতে সে তাকে ফোনে ধরিয়ে দিলে ছাড়া পায়।
তার বাড়ী ছিল চাঁদপুরে -সেখানে যেতে যেতে রাত ১২টা বেজে যায়। সেখানে সে পড়ে পুলিশের নজরে। পুলিশ তার কোন কথাই শুনছে না।এমনকি তার ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলতেও অপারগতা প্রকাশ করে। শেষতক ৫০০ টাকা দিয়ে ছাড়া পায়।
এ ধরনের বহু ঘটনা আছে -আগে দেখা যেত বাংলাদেশে ইমেগ্রেশান হয়রানি করতো -এখন ভারতীয়রাও পিছিয়ে নেই।
0 মন্তব্যসমূহ