কবে থেকে কোরান সংরক্ষন শুরু হয় এবং বিন্যাস করা হয়েছে এর আয়াত -ও সুরা গুলো।


বর্তমানে পৃথিবীতে একমাত্র গ্রন্থ মহিমান্বিত আল কোরান যা সমগ্র পৃথিবীতে অবিকৃত এবং লিপিবদ্ধ । সমস্ত মুসলমানরা একই ভাবে কোরান পাঠ করা কাগজের পুস্তিকা বা কিতাব আকারে। কিন্তু ইসলামের প্রাথমিক যুগে এটি এরূপ ছিলনা। কথিত আছে নবী করিম স: এর আমলে  সাহাবী যায়েদ ইবনে সাবিত রা:  ওহি নাযিল হওয়ার সাথে সাথে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালাম থেকে শুনে কোরআন লিপিবদ্ধ করতেন  খেজুর পাতায় পাথরে গাছের খণ্ডে এবং পশুর চামড়ায়।
প্রতি রমজানে জিবরাইল আলাই সাল্লাম কোরআনের সে আয়াতগুলো নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে পড়ে শুনাতেন। জায়েদ ইবনে সাবিত রা: সে অনুযায়ী সংশোধন করে নিতেন। 

নবী করীম সা: মারা যাওয়ার পর মোসাইলামাতুল  কাজ্জাব ইসলামী বিধি নিষেধ অস্বীকার করে বসেন।হযরত আবু বকর রা: তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং তাকে হত্যা করেন। সে যুদ্ধে প্রায় 100 জন সাহাবী শহীদ হয়।যারা ছিলেন কোরানে হাফেজ। 

তখন জায়েদ ইবনে সাবেত  রাঃ আবু বকরের সামনে গিয়ে বলেন যদি এভাবে হাফেজগণ নিহত হতে থাকেন তাহলে পৃথিবী থেকে অচিরেই কোরআনের অস্তিত্ব মুছে যাবে। এটাকে সংরক্ষণ এবং লিপিবদ্ধ  করা জরুরী।

আবুবকর প্রথমে এ মহান দায়িত্ব পালন করতে  রাজি ছিলেন না ভুল ভ্রান্তির কথা চিন্তা করে। এক পর্যায়ে  হযরত ওমরের  রা: তাকে বুঝাতে সক্ষম হন ।পরবর্তীতে হযরত  ওমর এবং জায়েদ ইবনে সাবেত কে সংরক্ষণের দায়িত্ব দেন।।

হযরত ওমর যায় জায়েদ ইবনে সাবেত এর নেতৃত্বে বেঁচে থাকা সকল হাফেজদের একত্রিত করে কোরান সংরক্ষণের সূচনা করেন।যা নিয়ে কাজ করতে কয়েক দশক লেগে যায়। যা হযরত ওসমান রা: আমলে শেষ হয়।

হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর আমলে -কাগজের আবিষ্কার হয়। কথিত আছে যে হযরত ওসমান রাঃ এর  হাতে লিখিত কোরান শরিফটি রাশিয়ার তাসখন্দ যাদুকরের এখনও সংরক্ষিত আছে। এ ছাড়া ব্রিটিশ মিউজিয়ামে হযরত আয়েশা রা: এ হাতের একটি কোরান শরিফ সংরক্ষিত আছে।

অনেকে বলেন -তাশখন্দ যাদুঘরের কোরানের একটি কপি -ইসলামী ফাউন্ডেশনে সংরক্ষিত আছে। যেটি তাসখন্দের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে উপহার হিসাবে দিয়েছিল। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ