কোরান কিভাবে -কোথা থেকে কেন আসলো ? আদৌ কি কোরানের সমকক্ষ জিনিষ মানুষ তৈরি করতে পারে ?


এ প্রশ্ন অনেকের মাথায়ই ঘুরপাক খায়। কেউ প্রকাশ করে কেউবা সাহস করে বলেনা। কিন্তু একটু কষ্ট করে কোরান ঘাটলেই এ প্রশ্ন গুলোর জবাব মিলে। সুরা বাকারার শুরুতে বলা হয়েছে -এটা এমন একটি কিতাব -যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। আর এটা মোত্তাকি কিংবা ফরেজগারের জন্য পথ প্রদর্শক। সুতরাং যারা ফরেজগার না বা মোত্তাকি না  তাদের জন্য এটা কখনও পথ প্রদর্শক নয়।

স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসে মোত্তাকি তাহলে কারা -এর উত্তরও সেখানে আছে। যারা আল্লাহর উপর (তার রাসুলের উপর ) ঈমান এনেছে , নামাজ প্রতিষ্ঠিত করেছে। (নামাজ পড়া আর প্রতিষ্ঠিত করা কিন্তু এক জিনিষ না ) অদেখা জিনিষের উপর (বেহেস্ত দোযখ,রুহ ,তাকদীর ,হায়াত,মউত,সাত তবক আসমান ,সাত তবক জমিন ) বিশ্বাস স্থাপন করেছে।  আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছে তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেছে। ( অর্থাৎ যাকাত দান খয়রাত ইত্যাদি। ) 

সুতরাং কেউ  নিয়ম মাফিক প্রাত্যহিক নামাজ না পড়ে মাঝে মাঝে পড়ে ,নিজের খেয়াল খুশিমতো পড়ে, কিংবা সপ্তাহে একদিন পড়ে  তাহলে কি তাকে ঈমানদার বলা যাবে ? অনেক পীরে বলে ঈমান ঠিক থাকলে নামাজের দরকার হয়না। কিন্তু কোরানের কোথাও এ কথা লেখা নেই যে আপনি মুসলমান হলে নামাজ পড়তে হবেনা। মুলত মুসলমানদের জন্যই নামাজ।  তেমনি ভাবে আপনার উপর যাকাত ফরজ হলো কিন্তু আপনি যাকাত দিলেন না -তাহলে কি আপনাকে ঈমানদার বলা যাবে ? আপনি মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান কিংবা পাপ পূর্ণের বিচার বেহেস্ত দোযখ বিশ্বাস স্থাপন করলেন না-তাহলে কি আপনাকে ঈমানদার বলা যাবে ? 

ঈমান আনতে হবে কয়টা জিনিষের উপরে এটার ব্যাখ্যা আছে অন্যত্র ;- আল্লাহর উপর বিশ্বাস ,রাসুলের উপর বিশ্বাস ,ফেরেস্তাগনের উপর বিশ্বাস ,শেষ দিবসের প্রতি -তাকদিরের ভালো মন্দের প্রতি -এবং মুত্যুর পরে পুনরুজ্জীবিত করার উপর বিশ্বাস। 

কোরান নাযিল হবার পূর্বে কোথায় ছিল, কেন এটা আমাদের কাছে আসলো -কিভাবে আসলো। কোরানের মহিমা তাৎপর্য কতটুকু ?

কোরান নাযিলের পূর্বে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল। নবী সঃ নবুয়তের ২৩ বছর বয়সের মধ্যে পর্যায় ক্রমে কোরান নাযিল হয়- জীবরাইল আঃ অহি আকারে নিয়ে আসতেন । এটার মর্যদা নিয়ে বলা হয়েছে -এটা যদি আল্লাহ নবী সঃ এর উপর নাযিল না করে পাহাড়ে রাখতে তাহলে  কোরানের ভয়ে পাহাড় গলে যেত। (সংক্ষিপ্ত)

এটা কি মানব রচিত কিংবা কারো পক্ষে এটি তৈরি করা সম্ভব ? এটার জবাবও  কোরানে আছে। যদি তোমার সন্দেহ হয় এটা আল্লাহর কিতাব কিনা -তাহলে এটা  সমকক্ষ একটি সুরা বা আয়াত তৈরি করে দেখাও। মূলত কেয়ামতের আগ পর্যন্ত কেউ করতে পারবেনা -দুনিয়ার সকল কবি সাহিত্যিক পন্ডিত -বোদ্ধা বিজ্ঞানী একত্রিত হলেও   (সংক্ষিপ্ত)

পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত কোরান থাকবে -কারণ এটা সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ স্বয়ং নিয়েছেন। সুতরাং কেউ যদি দু এক কপি পুড়ে বা নষ্ট করে তাহলে নুন্যতম ইসলামের ক্ষতি হবেনা এবংকোরান মুছে যাবেনা। কারন পৃথিবী ধ্বংশ হবার আগে কোরানের সব হরফ উঠে (লওহে মাহফুজে চলে যাবে ) ।এরপই কেয়ামত সংগঠিত হবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ