মানুষের জিহ্বাতে এক ধরনের ডরমাইড এন্ড প্যাপিলাইস নামক রাসানিয়ক পদার্থ আছে। যার দ্বারা মানুষ কোন কিছু মুখে দিলই জিহ্বা সেকেন্ডের মধ্যে মস্তিষ্ককে টেস্ট রিপোর্ট জানিয়ে দিতে পারে জিনিষটা কেমন এবং শরীরের জন্য উপযোগী কিনা।
এ জন্য বাচ্চারা কোন কিছু নাগালে পেলেই মুখে দেয়।কারণ সে বস্তুটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় বিধায় -জিহ্বা তার মস্তিষ্কে জানিয়ে দেয় এটা খাওয়া যাবে কি যাবেনা ।একই ভাবে যিনি অন্ধ তিনিও মুখে কোন কিছু নিয়ে বলে দিতে পারেন।এটা মিষ্টি লবণ নাকি টক ঝাল।এটা চা-কপি-পানি নাকি কোন ফলের রস।জটিল রোগে আক্রান্ত না হলে (ক্যান্সার) মানুষের জিহ্বার এ শক্তি মৃত্যু পর্যন্ত থাকে। যদি কোন কারণে জিহ্বার এ শক্তি লোপ পায় কিন্তু রাসানিয়ক পদার্থ গুলো কাজ না করে তাহলে এটা ফিরিয়ে আনা ডাক্তারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।
জিহ্বা যেমন খাবার পরিপাক যন্ত্রে পাঠাতে সাহায্য করে তেমনি -দাঁতের মাঝে খাদ্য পাঠাতে -দাঁত পরিষ্কার রাখতে এবং কথা বলতে সাহায্য করে।জিহ্বা না থাকলে কি হতো তা একবার পরীক্ষা করার জন্য -জিহ্বার সাহায্য ছাড়া খাবার খাওয়া এবং কথা বলা যায় কিনা তা একবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
এ জন্য কোরানে বলা হয়েছে -যে তার নিজকে চিনতে পেরেছে সে তার প্রভুকে চিনতে পেরেছে।
#শাহ_আব্দুর_করিম বলেছেন কোন মেস্তুরি নাও বানাইলো সুন্দর দেখা যায় -ঝিল মিল ঝিল মিল করছে আমার ময়ূর পঙ্খী নাও।
-বাউল আব্দুল রহমান বয়াতী এবং ফকির আলমগীর গেয়েছেন #মন_আমার_দেহ তরী সন্ধান করি কোন মেস্তরী বানাইয়াছে।
#লালন বলেচেন -আট কুঠরি নয় দরজা আঁটা মাঝে মধ্যে চরকা কাঁটা ----।খাঁচার ভেতর অচিন পাখি --
0 মন্তব্যসমূহ