পবিত্র কোরআনে একাধিক সুরাতে বলা হয়েছে ;-পৃথিবীর কোন সম্পর্কই হাশরের মাঠে কোন কাজে আসবে না। সবাই ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি বলে দৌড়াতে থাকবে! এমনকি পরনে কাপড় আছে কিনা সেই খবর নেবার সময় পাবে না।
ছেলে বাপকে চিনবে না, বাবা ছেলেকে চিনবে না, ভাই বোনকে চিনবে না, স্বামী স্ত্রীকে চিনবে না, নেতায় তার অনুসারীদের চিনবে না, পীর তার মুরিদদের খবর নেবার সময় পাবে না।।
সুরা বাকারাতে বলা হয়েছে -যারা অন্যের উপাসনা বা পূজা করে -যখন তাদেরকে সে পূজারীর সামনে হাজির করা হবে তখন তারা বলবে -আমি তাদেরকে বলিনি আমাকে পূজা করতে। এরা কারা আমি এদের কাউকে চিনিনা।
তখন পূজারীরা বলবে হে প্রতিপালক আজ যেভাবে আমাদেরকে অস্বীকার করছে তুমি আমাদের আবার দুনিয়াতে পাঠাও এভাবে তার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করবো। তখন আল্লাহ বলবেন -দুনিয়াতে তোমাদের একেবারই পাঠানো হয়েছিল এবং এ দিনটি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। এখন আর দ্বিতীয় কোন সুযোগ নেই।
বস্তুত নবী ছাড়া কোর পীর,আওলীয়া দরবেশ সুপারিশ করার সুযোগ পাবেনা। তবে একমাত্র নেক সন্তান সে যদি বেহেস্তি হয় তখন মা বাবার জন্য ফরিয়াদ জানাতে পারবে। এছাড়া কারো কোনো সুপারিশ কাজে আসবে না। একমাত্র নবী করীম সঃ ছাড়া।
দুনিয়ার মাঠে বাস্তব কিছু চিত্রে তার মিল খুঁজে পাওয়া যায়।চাকরি এবং আত্মসম্মান টিকানোর জন্য নিজের ছেলেকে অস্বীকার করছে একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ।কোন কোন সূত্র বলছে উনি নাকি বলছেন এটা তার ছেলে না ড্রাইভারের। এখন হয়তো ড্রাইভার এর চেহারার সাথে মিল খুঁজে দেখতে হবে কিংবা ডিএনএ টেস্ট করাতে হবে।
যার অর্থ দাঁড়ায় তার সম্পদ বৈধ ছিল না যদি বৈধ হতো তাহলে কখনও ছেলেকে অস্বীকার করতো না।
এমন কোন পিতা আছেন যিনি বৈধ টাকা দিয়ে ছেলেকে কোটি টাকা দিয়ে ০৬টি গাড়ী কিনে দিবেন ? পনের লাখ টাকা দামের ছাগল কোরবানি দেবার জন্য ছেলেকে ফার্মে পাঠাবেন ? বৈধ অর্থ দিয়ে কখনো এত বিলাসী জীবনযাপন করা যায় না।
বৈধ অর্থ উপার্জন করে যারা তাদের বুকে সাহস থাকে গলায় জোর থাকে।
অবৈধ উপার্জন কারীদের অবস্থা এমন হয় যে এরা দুনিয়াতে লাঞ্ছিত এবং অপমানিত হবে আখেরাতে ও তাদের জন্য রয়েছে কঠিন পরিণতি।।
0 মন্তব্যসমূহ