এক বড় ভাইয়ের -ডায়াবেটিস ছিল। হটাত একদিন পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে -আঙ্গুলে কাটা বিঁধলো -সেখান থেকে ক্ষত। সেখান থেকে কাটতে হলো পায়ের সব আঙ্গুল। একটা সময় এটা ব্যাপক আকার ধারণ করে সে দুনিয়া থেকে বিদায় নিল।
এক দুর সম্পর্কের ভাগিনার পায়ে পোড়া হলো। এটা বার বার কেটেও নির্মূল করা যাচ্ছিল না। একটা সময় শুরু হলো পচন - সেখান থেকে ইনফেকশন হয়ে ক্যান্সারে রূপ নিল। পরিশেষে এ বছর মৃত্যুর কাছে হার মানলো। তার মৃত্যুতে আমি বাস্তব জীবনে এ অভিজ্ঞতা পেয়েছি যে -কখনও অহংকার করতে নেই -পতনের জন্য বেশি কারণ লাগেনা।
যারা ইসলামের ইতিহাস পড়েছেন তার অবশ্যই নমরুদের কথা শুনেছেন। মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিল সে । একটা সময় সে ইব্রাহীম আঃ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললো -তোমার আল্লাহর চেয়ে আমার ক্ষমতা কম নয়। আমিও ইচ্ছা করলে মানুষের জীবন এবং মৃত্যু দিতে পারি। আমি নিজেও একজন মহা পরাক্রম শালী। এরপর একদিন রাজ দরবারে থাকা অবস্থায় -তার নাকে একটা মশা ঢুকে গেল। এ মশা নাকের ছিদ্র দিয়ে ব্রেনে চলে গেল। শুরু হলো নমরুদের অশান্তি । জুতা দিয়ে একটা কর্মচারী তার মাথায় আঘাত করলে সে শান্তিতে থাকতো -এমনি ভাবে তার মৃত্যু হয়।
ওসি প্রদীপের কথা এখন সবাই জানে। তার ক্ষমতা থাকে এতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে যে -মানুষের আল্লার কাছে নালিশ করা ছাড়া -কিছুই করার ছিলনা। ১৭৮/১৮৫ খুন করে যিনি পার পেয়ে গেলেন তিনি অবশেষে ফাঁসির আসামী হলেন মেজর সিনহাকে খুন করে।
যশোরের আলোচিত এমপি আনোয়ারুল আজিমকে কি নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশের মতে এ ধরনের খুন তারা চাকুরীর ইতিহাসে দেখেননি- আজ পর্যন্ত তার গায়ের মাংসেরও হদিস মেলেনি। কিন্তু এ আজিম সাহেব কি ভালো লোক ছিলেন ? ২০১৭ সালে উনি তার এলাকার এক ছেলেকে শিবির করার অপরাধে মেরে চোখ তুলে লাস রাস্তায় পাশে পেলে দিয়েছিলেন। তার কিন্তু কোন বিচার হয়নি। কারণ তিনি সরকারী দলের এমপি -কিন্তু নিয়তি তার পরিণতি ঠিক করে মানুষকে দেখিয়ে দিল -তুমি যদি কারো উপর নির্মম হও কেউ না কেউ তোমার উপর হবে।
সর্বশেষ ধরা খেলেন রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর। অবৈধভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে ছেলে মেয়েদের রাখলেন ধনীরা দুলারী আর ছেলেকে রাজপুত্র করে। তার গচ্ছিত সম্পদ দিয়ে হয়তো বানানো যাবে আরেকটি ছোট খাট পদ্ম-সেতু।
ছেলে গেলেন ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কিনতে । যে ছাগলের ওজন লাখ টাকার গরুর সমানও নয়। এতেই মনে হয় কাল হলো তার। আলোচনায় আসলো তার ছেলে বৈধ টাকা দিয়ে কেউ এত দামে ছাগল কেনার কথানা। শুরু হলো পাপের ফিরিস্তী। ছেলেকে অস্বীকার করেও পার পেলেন না।
তাই একটা কথা খুব মনে রাখতে হবে যে -আল্লাহর ধরা শক্ত ধরা। পতনের জন্য বেশি কারণ লাগেনা একটু অহংকার কিংবা কারো অভিষাপই যথেষ্ট।
0 মন্তব্যসমূহ