টেলিপ্যাব এর অনুষ্ঠানে তিন সভাপতি এক সাথে। এটা একটা নতুন মেরুকন।

 


২০১৫/২০১৬ সালের ঘটনা। আমার কয়েকটি নাটকের পরিচালক S A Haque Olike এর মাধ্যমে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিঃ এসোঃ সদস্য হই। তখন সংগঠনের কাউকে চিনতাম না। কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচন আসে। Manir Hossain Jibon ভাইর অফিসে গেলাম এ বিষয়ে আলাপ করতে।তাকে বললাম -ভাই আমিতো কাউকেই চিনিনা আপনি সিনিয়র মানুষ সে পথে হাঁটবেন সে পথেই আমি আছি।

উনি বলবেন -ঠিকাছে থাকেন আমার সাথে আমি আপনাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।
পরের দিন নিয়ে গেলেন বনানী বশির ভাইর অফিসে। সেখানে পরিচয় করিয়ে দিলেন আমাদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট-Arshad Adnan ,প্রযোজক শাওন এবং তুফান ছবির প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল ও অন্যান্যদের সাথে।
বলা-বাহুল্য -এর আগে থেকেই আমি মোহন ভাই ,মনোয়ার পাঠান এবং মামুন ভাইকে চিনতাম। সে নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিধন্ধীতা করেছিলেন মামুনুর রশিদ ও আরশাদ আদনান। নির্বাচিত হয়েছিলেন মামুন ভাই।এরই মাঝে অনেক বছর কেটে গেল। প্রিয়তমা ছবি করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন আদনান ভাই।
আমি ভেবেছিলাম আদনান ভাই আমাকে চিনেনা -কাল আমাকে দেখে বললো -আগেতো আপনার ভালো ভালো পোস্ট দেখতাম এখন দেখছিনা কেন ? আমি হেসে বললাম -ভাই আগের মত লেখা হয়না তবে মাঝে মাঝে লেখি।
যাই হোক এ সমিতিতে ক্রমান্বয়ে আমার সাথে একটা ভালো সম্পর্ক কিংবা বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায় Shazzad Hossain Dodul ভাইর।বলা বাহুল্য আমি দোদুল ভাইয়ের একজন কট্টর সমালোচক। এ ছাড়া একজন ভালো মনের মানুষ হিসাবে পাই Mir Fakruddin Choton কে।দিনে দিনে @salim Reza @ বোরহান ভাই সহ কয়েক জনের সাথে একটা গুড রিলেশন তৈরি হয়ে যায়।
মামুন ভাইয়ের পরবর্তীতে ইরেশ যাকের এ সংগঠনের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়। গত বারে সভাপতি হিসাবে আসে -প্রিয়ন্তির কর্ণধার মনোয়ার পাঠান। এবার নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে একটা নুতন সমীকরণ দাঁড়ায়। মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা মিলে সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেন আরশাদ আদনানের কাঁধে। বলা বাহুল্য এ সিলেকশন কমিটিতে রাখা হয় আগেকার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক Saju Muntasher কেও। যা সত্যিকারার্থে অভাবনীয় এবং বিরল ।
গতকাল নতুন কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে তিন সভাপতি যখন একই ফ্রেমে আবদ্ধ হলেন -তখন আমার মনে হলো সংঘঠনতো এমনই হওয়া উচিত -যেখানে বিভাজন,দলাদলি এবং ব্যক্তি-স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ