আজ থেকে ৭-৮ বছর আগের ঘটনা। আমাদের দেশের এক ঘটক আমাকে নিয়ে গেল নয়াটোলা স্টাফ কোয়ার্টারে মেয়ে দেখাতে।ভদ্রলোকের বাড়ি আমাদের দেশে। ঘটকরা সাধারণত কথাবার্তা একটু বাড়িয়ে বলেন। তারপরও বাসায় গিয়ে মনে হল আভিজাত্যের একটা ছোঁয়া আছে।।
সে যাই হোক জানলাম ভদ্রলোকের ঢাকায় তিনটা বাড়ি। থাকেন সড়ক ও জনপদের এর এ স্টাফ কোয়ার্টারে। তিন ছেলের মধ্যে দুই বাড়িতে দুই ছেলে থাকে এক ছেলে থাকে ওনার সাথে।
দু মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েকে বিএ পাস করিয়েছেন। ছোট মেয়ে স্কুলে পড়ে। মেয়ে দেখা পর্ব শেষ করে আমরা বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।কথাবার্তা মোটামুটি সেমিফাইনাল পর্যায়ে চলে গেল তারাও আমাদেরকে পছন্দ করলো আমরাও মেয়ে পছন্দ করলাম!!
কথাপ্রসঙ্গে আমি ঘটককে জিজ্ঞাসা করলাম আচ্ছা উনি সওজতে সরকারি চাকরি করে বললেন কিন্তু কোন পোস্টে চাকরি করেন সেটাতো বললেন না।।
ঘটক বেচারা সহজ সরল ভাবে আমাকে বলে দিলেন, আরে ভাই উনিই হলেন সওজ এর মালেক
ড্রাইভার।। ওয়ান ইলেভেন এর সময় উনিতো পলাতক ছিলেন।। আমি এবার একটু নড়েচড়ে উনাকে বললাম উনি যে ড্রাইভারি চাকরি করেন এটা কি আপনি আমাকে আগে বলেছেন? তখন বেচারা ভ্যাবা ছেকা খেয়ে বললেন, না মানে ভাই উনিই তো ১৫ বছর আগে ড্রাইভারি করতেন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হবার পর থেকে তো আর উনি গাড়ি চালাননি।তখন আমি বললাম একজন ড্রাইভার এর কি করে ঢাকা শহরে তিনটা বাড়ী হল, আমাকে কি বুঝাতে পারেন ? এ কথা শুনে আমার গাড়ীর ড্রাইভার হাসতে লাগলো।
ড্রাইভার।। ওয়ান ইলেভেন এর সময় উনিতো পলাতক ছিলেন।। আমি এবার একটু নড়েচড়ে উনাকে বললাম উনি যে ড্রাইভারি চাকরি করেন এটা কি আপনি আমাকে আগে বলেছেন? তখন বেচারা ভ্যাবা ছেকা খেয়ে বললেন, না মানে ভাই উনিই তো ১৫ বছর আগে ড্রাইভারি করতেন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হবার পর থেকে তো আর উনি গাড়ি চালাননি।তখন আমি বললাম একজন ড্রাইভার এর কি করে ঢাকা শহরে তিনটা বাড়ী হল, আমাকে কি বুঝাতে পারেন ? এ কথা শুনে আমার গাড়ীর ড্রাইভার হাসতে লাগলো।
এরপর ভদ্রলোক আমাকে অনেক বুঝাতে চেষ্টা করলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি পিছপা হলাম।। কারণ অবৈধ সম্পদ উপার্জন কারীদের ঘরে কখনো সু সন্তান হয় না।তাছাড়া এ অবৈধ সম্পদের ছায়া কোন না কোন ভাবে আমার উপরে পড়বেই। তাই উনাদের নিষেধ করে দিলাম।

0 মন্তব্যসমূহ