আয়নাঘর সন্ধান। পর্ব-০২
ইসরাইলের সাথে বাংলাদেশীদের কোন ব্যবসা-বানিজ্যের কিংবা ভ্রমণের সুবিধা নেই।যার কারণে বাংলাদেশী পাসপোর্টে ইসরাইলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আছে। যদিও এখন সেটা নেই। জেনারেল আজিজ এই ইসরাইল থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য তার ভাইদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন আড়িপাতার যন্ত্র।
এ রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পরই বিশ্বব্যাপী তোড়পাড় শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং জেনারেল আজিজ এটি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে-তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনীর জন্য আইসিটি সরঞ্জামাদি কিনেছেন সত্য -কিন্তু এটার সাথে তার ভাইরা এবং ইসরাইল সম্পর্কিত নয়। অথচ সে নিউজে এটি প্রমাণ সহ এবং তার ভাইয়ের কল রেকর্ড সহ উপস্থাপন করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ-থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। সরকারের দোসররা এক যোগে ফেসবুকে এর প্রতিবাদ স্বরূপ ঝড় তুলে -All men For Hasina -লিখে ফেসবুক রাঙ্গান।
বাংলাদেশ সরকার উইটিউব কর্তৃপক্ষকে এটি সরিয়ে নিতে চিঠি দেন। যদিও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সেটি কদিনের জন্য বন্ধ রাখলেও পরে আবার উম্মুক্ত করে দেন। বর্তমানে এটির ভিউ ত্রিশ লক্ষের উপরে।। শুরু হয় সেসব সাংবাদিকদের নিয়ে চৌদ্দগোষ্টীর পরিচয় উদ্ধারের পর্ব এবং মামলা মোকদ্দমা। তবুও নেত্রোনিউজ থেমে যায়নি কারণ তাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। যার জন্য মাস তিনেক এর মাথায় তারা দ্বিতীয় পর্ব ইউটিউবে নিয়ে আসেন -জুডিশিয়াল কিলিং নিয়ে। যেখানে দেখানো হয় ডিজিএফ আই কর্তৃক মানুষকে গুম করার লোমহর্ষক ঘটনা। যে ঘটনার সাক্ষী বর্তমান উপদেষ্টা ----এর স্বামী। ফরহাদ মাজহার ,আবু ত্বোহা আদনান এবং বিশ্ববিদ্যালের এক শিক্ষক। যিনি দীর্ঘ ০৬ মাস পরে মুক্তি পান।
যদিও তারা আজ পর্যন্ত কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি। তবুও ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন এক প্রবাশী বাংলাদেশী। যিনি All men for Hasina দেখে অনেক কষ্টে সুইডেনে থাকা নেত্রোনিউজের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। তদ পরবর্তীতে তার সাথে তারা কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে- নিউজ টিম ছুটে যায় মালেয়শিয়ায়। ঘটনাতে জানা যায় ভুল ক্রমে গাজীপুরের মাওনা থেকে এ লোকটিকে তুলে নিয়ে যায় ডিজিএফ আই। প্রায় তিন মাস মাটির নীচে ৫ বাই ৮ ফুটের একটি অন্ধকার ঘরে আবদ্ধ রাখার পর অনেক নির্যাতন এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা নিশ্চিত হন তারা যাকে খুঁজছিলেন এ লোক সে লোক নয়। তারপর একদিন ভোরে তাকে ফেলে আসে গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায়। তাকে শর্ত দেয়া হয় যদি সে মুখ খুলে তাহলে তাকে আবার তুলে নেয়া হবে। তারপর সে লোক এক মাসের মাথায় চলে যায় মালেয়শিয়া।
ডয়েস এফএলে থাকা খালিদ মহিউদ্দীন এ নিউজের সূত্র ধরেই অবসর প্রাপ্ত কিছু সামরিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন। তখন তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান -সরকার কতৃক এ ধরনের একটি টর্চার সেল আছে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় -এটির ব্যবহারিক নাম আয়নাঘর।
চলবে----আগামী পর্বে -
.jpg)
0 মন্তব্যসমূহ