ব্রিটিশ আমলে -জমিদারদের সামনে দিয়ে কেউ জুতা বা খড়ম (কাঠের জুতা) পরে, ছাতা মাথায় দিয়ে .ঘোড়ায় চড়ে যেতে পারতো না।এটাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হতো।
তাছাড়া মেয়ের বিয়ে ,মেজবানি ,নবান্ন উৎসব ,সুন্নতে খতনা কিংবা পারিবারিক ভাবে মিলাদ মাহফিলের জন্য লাগতো জমিদারের অনুমতি।
জমিদারের সামনে দিয়ে পায়ের ধুলা উড়িয়ে -কিংবা শব্দ করে চলা ,জোরে জোরে হাসা ,উচ্চস্বরে কথা বলা ,গরুর গাড়ী ,ঠেলা গাড়ী ,কলের গান বাজানো ,ঢোল বাঁশি বাজানো, খাল বা নদীতে মাছ ধরা , জমিদার উপস্থিত হবার আগে কোন অনুষ্ঠান শুরু করা ,জমিদারকে বাদি দিয়ে কোন বিচার বা শালিশ করা , যাত্রাপালা -সার্কাস কিংবা নাচ গানের আয়োজন সহ জমিদার বংশের কোন লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন ছিল বারণ।
সে জমিদার বংশের কিছু লোক যে এখনও রয়ে গেছে চট্টগ্রামের রাউজানে তা আজ জানলাম যমুনা টিভির একটি প্রতিবেদন দেখে।
#ফজলে_করমি_চৌধুরী এম.পি ,সাকা চৌধুরীর আপন চাচাতো ভাই। মানবতার ফেরিওয়ালা বলে খ্যাত -#ফারাজ_করিমের বাবা। তিনি নিজ এলাকা # চট্রগ্রাম-০৬কে #পিংক_সিটি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। এলাকার প্রতিটি বাড়ীকে তিনি পিংক কালার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তার অনুমতি ব্যতিরেকে কেউ যদি তার বিল্ডিং পিংক কালারের পরিবর্তে অন্য কোন কালার করতো -তাকে ধরে এনে করা হতো নির্যাতন। এমনকি তার এই নিয়ম থেকে আওয়ামীলীগের নেতারাও বাদ যাননি।
#পিংক_সিটি তৈরিতে তার দেয়া মূল্যে জমি লিখে দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় অনেককে -পঙ্গুত্ব বরন করতে হয়েছিল। অনেকে হয়েছেন এলাকা ছাড়া।অনেকে হয়েছেন গায়েবি মামলার আসামী। এ কাজে তাকে ফজিলতের সহিত সর্বাত্মক সহযোগীতা করেছেন দলের লোকজন এবং পুলিশ প্রশাসন। সে সব ভুক্ত-ভোগীরা এখন তার বিচার চান।
চিড়িয়াখানা ,মাছের খামার ,পিংক পার্কের দখলকৃত জমি ফেরত চান। এটা নতুন কিছু নয়। নতুন হলো এত বড় জমিদার কেন চোরাই পথে ভারত পালিয়ে যেত চাইলেন ? আবার ধরা পড়লেন বিজিবির হাতে। তিনিতো নিজস্ব হেলিকপ্টার নিয়ে বৃটেনে চলে যাবার কথা।
কারন তিনি-তো শুধু রাউজানের গর্ব নয় পুরো দেশের গর্ব। তার স্থান হওয়া উচিত ছিল শাহবাগ যাদুঘরে। যাতে আমরা মাঝে মাঝে তার সাথে সেল্পী তুলে গর্বিত হতে পারি।
0 মন্তব্যসমূহ