কাল জিটিভির একটি প্রতিবেদন দেখলাম। ২০১৩ সালে ০৫ই মে হেফাজতের মহা-সমাবেশের নন-জুডিশিয়াল কিলিং মিশন নিয়ে।
গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে পরিকল্পনা দেখে। রাত ০২ টার দিকে যখন কিলিং মিশন শেষ হয় তখন আর্মীর বড় কনবয়ে যখন লাশ গুলো তোলা হয় -তখন রক্তের দাগ পড়তে ছিল রাস্তায় সেটা মুছে ফেলার জন্য -ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ব্যবহার করা হয়। আগে আর্মীর গাড়ী পিছনে ফায়ার সার্ভিসের পানি ছিটানো গাড়ী। যাতে রক্তের দাগ রাস্তায় লেগে না থাকে। বলা বাহুল্য সেখানে মিডিয়ার কোন চ্যানেলকে ডুকতে দেয়া হয়নি। এটা ছিল প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননা।
এর পরের গঠনা গুলো আরো ভয়াবহ -আঞ্জুমানে মফিদুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় -কতটি লাস এসেছিল ঐ রাতে। তারা জানায় লাসের গাড়ী এসেছে -কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায় -তারা লাস গুলো গ্রহন করেনি। তারপর অজানা গন্তব্যে জিপ গুলো চলে যায়- হয়তো রাজারবাগে নয়তো -জুরাইনে।
ঢাকা মেডিকেলে একাধিক গুলিবিদ্ধ আহত মানুষকে নেয়া হয় -চিকিৎসার জন্য সেখানে পুলিশ গিয়ে- প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে প্রতিটি আহতদের নিজ এলাকায় চলে যেতে প্রভাবিত করে। কাউকে কাউকে কিছু টাকাও প্রধান করে। শর্ত থাকে যে এ ব্যাপারে মিডিয়ার সামনে কিছু বলতে পারবে না।
ঢাকা মেডিক্যাল থেকে কিছু পরিবারকে স্ট্যাম্পে দস্তখত নিয়ে লাস দেয়া হয় কিছু কিছু পরিবারকে টাকাও দেয়া হয়। -শর্ত থাকে যে -তারা জানাবে অমুক অমুক মিলে তাদের হত্যা করেছে।পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়নি। অনেক পরিবার টাকা নেয়নি অনেকে আবার ভয়ে টাকা নিয়ে চুপ থেকেছে।
যদি ০৫ই আগস্ট ব্যর্থ হত -তাহলে শুনতেন হয়তো ১০০/১৫০ আন্দোলন কারী কিংবা দুষ্কৃতিকারী পুলিশকে মারতে গিয়ে কিংবা প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছে। আরো শুনতেন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের মত পুলিশের বীরত্ব গাঁথা ।
পুলিশ কোন অপরাধই করেনি। যা জানমাল জ্বালিয়ে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে ০৫ বছর লাগবে। এজন্য তাদের আরো ০৫ বছর ক্ষমতায় থাকা জায়েজ। যে কজন মারা গেছে তারা সবাই বিএনপি জামাতের কর্মী আর পুলিশ মৃত্যুর রিপোর্ট গুলো চ্যানেলে চলতো লাগাতার।
লাস পুড়িয়ে ফেলা ,এ্যাপাচি থেকে লাস টেন হিঁচড়ে নামিয়ে আনা -হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা ,যাত্রাবাড়ী ও চাঁনখার পুলে গন হত্যা মিশনে পুলিশ একটি গুলিও ছুড়েনি। এভাবে ইতিহাস ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম পড়ে থাকতো হেফাজতের গণহত্যার মতই।বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ,জেলে যারা আছে তাদের নিশ্চিত ফাঁসি -বিদেশে যারা আছে তাদের দেশে ফেরা -হতনা কিছুই।আয়না ঘর নামক গুয়ান্তানামক কারাগার বলে কিছু আছে -বিশ্বাস করতোনা কেউই।
সারজিস -মাহফুজ -আসিফ-হাসনাতদের -ফাঁসি হত নিশ্চিত ভাবেই। বিএনপির নির্বাচন নির্বাচন করে লাপানো নেতা গুলো থাকতো গর্তের ভেতরেই।
0 মন্তব্যসমূহ