মুসলমানরা কেন বার বার পরাস্ত হচ্ছে আর পশ্চিমা গোষ্ঠীর হাতে মার খাচ্ছে।


মুসলমানরা আছে শিয়া -সুন্নি ভেদাভেদ নিয়ে। তাবলীগ -হেফাজত -চরমুনাই -জামাত -এ বিতর্কও আমাদের দেশে কমনা। যুগ যুগ ধরে মুসলমানরা একে অন্যের দোষ খোজাতে ব্যস্ত। তাই তারা কখনও এক হতে পারেনা। তাদের ভেতরে ঐক্য নেই। এ সুযোগে সব শেয়ালেরা মুহূর্তেই এক জোট হয়ে -মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে স্বল্প সময়ের নোটিশে। শুধু একজনে হুক্কাহুয়া ডাক দিলেই ব্যস -----। সেটা যে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাই বলেন আর ইস্যুই বলেন।
টানা এক বছরের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনে নৃশংসতা চালাচ্ছে -ইসরাইল।। কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। মুসলিম রাজারা হুর-পরী আর শরাব নিয়ে হেরেম খানায় পড়ে আছে।এ সুযোগে -পশ্চিমারা মুসলিম দেশ গুলোতো -ডুকিয়ে দিয়েছে -বার ,নাইটক্লাব,কনসার্ট,সী-বীচ পতিতালয় আর ওয়েস্টার্ন জীবন উপভোগ করার প্রতিযোগীতা।
গাজার হাসপাতালে হামলা হলো -এ্যাম্বুলেন্সে হামলা হলো -ত্রাণ বাহী কনভয় ঢুকতে বাধা প্রধান করা হলো -কোন প্রতিকার নেই -কোন প্রতিবাদ নেই কোন তিরস্কার নেই । মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোন অভিযোগ নেই। জাতিসংঘ সহ সকল মানবাধিকার সংস্থা গুলোর কোন হুমকি ধমকি নেই। প্রতিদিন ইসরাইলের হামলা নিরীহ ফিলিস্তীনিরা মারা যাচ্ছে কোন সংস্থারই ভ্রক্ষেপ নেই। মনে হলো এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা।
ঠিক এক বছর পর ইরান যখন ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা করে নিজেদের শক্তির জানান দিল -হাসপাতালে বোমা মারলো -তখনই আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলো গর্জে উঠলো শাহবাগের মত।
অথচ এরই মাজে ইরানের হাসপাতালে হামলা হয়েছে -এ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে বোমা হামলা হয়েছে -এটা কেউ প্রচারই করলো না।
এতদিন চীন -উত্তর কোরিয়া -রাশিয়া -ইরানের পক্ষে কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর -তারা এখন ব্যবসায়ীক সুরে কথা বলছে। ইরানের পাশে থাকবে ইরানকে সহযোগীতা করবে। বাহ চুদির ভাই -বাহ।
পুরো বিশ্ব জানলো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর ব্যবসায়িক পলিসি শুধু মুসলিম রাষ্ট্র গুলোই জানলো না। তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে ০৫ হাজার কিলোমিটার থেকে উড়ে এসে যুক্তরাষ্ট ১৩টি ঘাটি গেড়ে বসে আছে আরব্য উপকুলে।
আর এসব ঘাটি থেকে সময়ে অসময়ে মুসলমানদেরই আক্রমনের লক্ষ্য বস্তু বানাচ্ছে তারা। আজ পর্যন্ত কেউ কি শুনেছেন এসব ঘাটি থেকে কোন অসুমলিম রাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্র হামলা করেছে ? মুসলমানদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে -ইয়েমেন-ইরাক-সিরিয়া -লিবিয়া -মিশরে এবার ইরানে -যখন তখন আক্রমণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।আর আরব বিশ্বগুলো -দর্শক হয়ে সেটা উপভোগ করছে। কেউ হাতে তালি দিচ্ছে কেউবা নিন্দা জানিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে।
আন্তর্জাতিক সব সংস্থাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে স্বল্প সময়ের নোটিশে অথচ মুসলমানরা এক হয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনা বলেই -যুগে যুগে আমেরিকার কাছে মার খেয়ে যাচ্ছে-নানান অযুহাতে। তাদের অনৈক্যের সুযোগটা ঠিকই কাজে লাগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
লেখক -আসিফ মোঃ নজরুল।
নাট্যকার ,সাংবাদিক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ